সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বারোপোতা গ্রামের নাছিমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ ও তার কন্যা সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে ওই গৃহবধূর স্বামী মোঃ নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো দুই তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাতক্ষীরা নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে।
আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ডুমুরতলার মৃত নিরঞ্জন মন্ডলের ছেলে হারান চন্দ্র খোকা (৪৫), বারোপোতা এলাকার মৃত ভুতনাথ সরকারের ছেলে উত্তম সরকার (৪০) ও একুই এলাকার রমেশ মন্ডলের স্ত্রী অর্পনা মন্ডল সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন।
মোঃ নুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ আগস্ট ২০২০ তারিখ দুপুরে আমার স্ত্রী আমার কন্যাকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে তাদের অপহরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান ওই দিন আমার স্ত্রী ও কন্যা বাড়ি থেকে বের হয়েছে এমন খবর জানতে পেরে সদর উপজেলার পরানদহা বাজারের পাশে রোকনেরর মোড়ে আসামিরা ওৎ পেতে থাকে। এসময় আমার স্ত্রী নাছিমা ও কন্যা নাসরিন রোকনের মোড়ে পৌছানোর সাথে সাথে উত্তম সরকার অপর্ণা মন্ডল সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিন জনের সহযোগিতায় হারান মন্ডল খোকা জোরকরে একটি সাদা রঙ্গের মাইক্রোবাসে তুলে সাতক্ষীরা শহরের দিকে নিয়েযায়। আমি লোক মারফত জানতেপেরে আমার স্ত্রী ও কন্যাকে উদ্ধারে চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানায়। পরে এলাকার কয়েকজনের সহযোগিতায় সদর থানায় অভিযোগ দিলে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সাতক্ষীরা জজকোর্টে যেয়ে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানান তিনি। অভিযোগ আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে তদন্ত দিয়েছে আদালত। এ ঘটনার পর থেকে হারান মন্ডল খোকাও আত্নগোপনে রয়েছে।
নুরুজ্জামান আরো জানান, হারান মন্ডল খোকা বহুদিন যাবত আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা ও গুমের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। এঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অর্থের বিনিময়ে হাত করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।