সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রভাষক আরশাদ আলীর বিরুদ্ধে রেলওয়ে’তে অফিস সহকারি পদে চাকুরী দেয়ার প্রলোভনে এক নারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ ভুক্তভোগি খাদিজা খাতুন রবিবার সন্ধায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মামা কবিরুল ইসলামকে রেলওয়ে’তে অফিস সহকারি পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শ্যামনগর উপজেলার ছোটকুপট গ্রামের মৃত আবু জাফর সরদারের ছেলে আরশাদ আলী ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমার শিক্ষক হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমি নিজে ২০১৬ সালে আরশাদ আলীর কাছে নগদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। বাকি এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্বর্ণের গহনা ও জমির দলিল দেই। পরে টাকা দিয়ে গহনা ও দলিল ফেরত নেই। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আমার মামাকে চাকুরি দিতে না পারায় আমি টাকা ফেরত চাইলে প্রভাষক আরশাদ আলী টালবাহনা করতে থাকে।
এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপনের কাছে
অভিযোগ করলে ২০১৭ সালে ৯ আগষ্ট ১ লাক ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং বাকি টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুত অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আবারও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে আরশাদ ২ লাখ টাকা দেন।
খাদিজা খাতুন বলেন, প্রতারক আরশাদ বাকি টাকা দেয়ার নামে তালবাহনা করতে থাকলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান লাল্টু’র কাছে অভিযোগ দিলে ৭দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা ওয়াদা করে। কিন্তু তার ওয়াদা রক্ষা না করায় উপজেলা চেয়ারম্যান লাল্টু আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বললে ২০২০ সালের ৩০ মার্চ কলারোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এসময় থানায় এক শালিশে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে বিষয়টি মিমাংশ করে দেন।
এসময় আরশাদ আলী আমাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ দেয় এবং বাকি ৭৫ হাজার টাকার জন্য ৫ মাস সময় নিয়ে পূবালী ব্যাংক কলারোয়া শাখার বি-২৫-জে-এ -০৬৬০৫৯৯ একটি চেক প্রদান করেন। গত ৩০ আগষ্ট ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের কথা থাকলেও আরশাদ আলী আরো একমাসের সময় নেয়। আমি পূবালী ব্যাংক কলারোয়া শাখার ৪ অক্টোবর চেকটি জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল হওয়ায় চেকটি ফেরত দেয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখনো আমি তার কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা পাবো। প্রতারক আরশাদ আলী প্রতিশ্রুত অনুযায়ী টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। তিনি চাকুরির প্রলোভনে নেয়া বাকি সাড়ে চার লাখ টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।