বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় ভারতীয়দের জন্যও অনুকরনীয়। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। তাই দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্থুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের জন্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশেরই মানুষ অত্মত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের যে মিল রয়েছে তা পরবর্তী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অব্যাহত থাকবে। সামজিক নিরাপত্তা ও মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা সারা পৃথিবীর কাছে অনুকরনীয়। বাংলাদেশ ও ভারতে উন্নয়নের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা চলমান থাকবে।
তিনি আরো বলেন, মার্চ মাস হলো একটি ঐতিহাসিক মাস। এই মাসে বঙ্গবন্ধু জন্মদিন পালন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে এসে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি। এখানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাই শ্রদ্ধার সাথে বলছি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনীতে উৎসর্গ আছে। এরআগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারে শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
এ সময় ঢাকাস্থ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী শ্রীমতী মানু ভার্মা, ফাস্ট সেক্রেটারী শ্রী অনিমেষ, সেকেন্ড সেক্রেটারী শ্রী বৈভব গোনদানী, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল মামুন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল মুনসুর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী প্রণয় ভার্মা বঙ্গবন্ধু ভবনে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে সেখানে স্বাক্ষর করেন।
পরে তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও সমাধিসৌধের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।