গ্রীণ মাল্টা (বারি-১) জাতের লেবুর চাষ করে লাভবান হয়েছেন সাতক্ষীরার কৃষকরা। পানি ও মাটি লবণাক্ত হওয়ায় সাতক্ষীরার মাল্টায় মিষ্টতা বেশি। এক একটি গাছ বেঁচে থাকে ৪০ থেকে ৪৫ বছর। কোনো প্রকার রাসায়নিক সারের ব্যবহার ছাড়াই উৎপাদিত মাল্টার বাজার মূল্য ও চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ছনকা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম খোকন গত তিন বছর যাবত মাল্টার চাষ করছেন। ১১ বিঘা জমির ওপর তার বাগানে প্রতিটি গাছে ৭০ থেকে ৮০ কেজি মাল্টা হয়ে থাকে। গাছের বয়স ৫ বছরের বেশি হলে প্রায় তিন মন মাল্টা পাওয়া যায় প্রতিটি গাছে । এতে পোকা মাকড়ের তেমন কোনো উপদ্রব নেই। দেশি বাতাবি লেবুর গাছে কলম বেঁধে তিনি মাল্টা গাছের সম্প্রসারন ঘটিয়েছেন। এজন্য মাল্টা গাছের বয়সও হয় ৪০ থেকে ৪৫ বছর। তিনি বলেন তার দেখাদেখি সাতক্ষীরায় এখন ৩০ /৩৫ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করছেন কৃষকরা। তার কাছে এখনও ১২ হাজার মাল্টা চারার অর্ডার রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মাল্টা চাষী সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন,‘রাঙ্গামাটি ঘুরতে যেয়ে মাল্টার চাষ দেখে আগ্রহী হই। মাল্টা যাতে বিদেশ থেকে আমদানি না করতে হয় সেজন্য দেশের চাহিদা মেটানোই আমার লক্ষ্য’।
তিনি বলেন ‘মাল্টা চাষে কোনো সমস্যা নেই। কোনো প্রকার রাসায়নিক ছাড়াই উৎপাদিত গ্রীণ (বারি-১) জাতের মাল্টা খুবই মিষ্টি,সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এখানকার পানি ও মাটি লবণাক্ত হওয়ায় এর মিষ্টতা বৃদ্ধি পেয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে। আগস্টে মাল্টা পূর্ণতা লাভ করলে শুরু হয় বেচাকেনা। বছরের বাকি সময় ধরে গাছের পরিচর্যা করতে হয়। জৈব সার প্রয়োগ করতে হয়।
দেশে যখন মাল্টা বাজারে উঠতে শুরু করে তখন বিদেশ থেকে মাল্টা আমদানি বন্ধ রাখার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এতে দেশে উৎপাদিত মাল্টা আরও বেশি বাজার পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক
মো. নুরুল ইসলাম জানান, জেলায় এ বছর ১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। সাতক্ষীরার মাল্টা খুবই মিষ্ট ও সুস্বাদু। আমরা চাষীদের মাল্টা চাষে আরো উৎসাহিত করছি।