সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেছেন, আমরা সবাই চাই প্রাণসায়র খাল খনন হোক, সাতক্ষীরা জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হোক কিন্তু তার মানে এই না যে খালধারের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করতে হবে। খাল খনন করতে গিয়ে শত বছরের ঐতিহ্য নষ্ট করা চলবে না।
মঙ্গলবার বিকালে প্রাণসায়র ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বানে প্রাণ সায়র খাল পাড়ের ভাঙ্গা দোকান পরিদর্শণ শেষে শহরের পাকাপোলের মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা দূরীকরণ সরকার প্রাণসায়র খালসহ জেলার কয়েকটি নদী খননের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। খাল খননের জন্য ইতিমধ্যে খালপাড়ের বেশির ভাগ দোকানের পেছনের দিক থেকে নির্দিষ্ট অংশ ভেঙ্গে নিতে বলা হলে ব্যবসায়ীরা তা নিয়েছেন কিন্তু এরপরও আবার নাকি দোকানঘর ভাঙ্গার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এ ব্যপারে পৌর কর্তপক্ষ কিছুই জানেনা। আমাদের না জানিয়েই মাইকিং করা হয়েছে।
মেয়র আরো বলেন, পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে ব্যবসা করছেন তারা অবৈধ নন। খাল খননের জন্য যতটুকু জায়গা ছেড়ে দেওয়ার তা তারা দিয়েছেন। এরপরও আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গার পক্ষে পৌরসভা না। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের খালপাড়ে কোন প্রকার ময়লা আবজর্না না ফেলার জন্য অনুরোধ জানান।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, শেখ ফিরাজ হাসান, প্রাণসায়ের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌর দত্ত, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কার শেলী প্রমুখ। প্রাণ সায়র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌর দত্ত বলেন, মহামারি করোনার জন্য ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। একবারও এসব প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে কতগুলো সংসার চলে তাদের কথা ভাবা হয়েছে ? এরপরও যদি আবার দোকান ভাঙ্গা হয় তাহলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। এসময় প্রাণসায়র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কার শেলী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পক্ষে পৌরসভার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর কাউন্সিলর শফিক উদ দৌলা সাগর, ফারহা দিবা খান সাথী, অনিমা রাণী মন্ডল, ব্যবসায়ী নেতা আ স ম আব্দুর রবসহ প্রাণ সায়র খালপাড়ের ব্যবসায়ীরা।