সাতক্ষীরায় পারিবারিক চিকিৎসা সহায়তা তহবিলের ৬লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা শহরের উত্তরকাঠিয়ার আলহাজ্ব গোলাম আকবরের পুত্র মো: মহাসিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমাদের পিতা আলহাজ্ব মোঃ গোলাম আকবর জীবিত থাকা অবস্থায় পারিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করানোর উদ্দেশ্য বিগত ২০০৬ সালে “আলহাজ্ব ফজিলাতুনেছা চিকিৎসা সহায়তা তহবিল” নামে একটি তহবিল গঠন করা হয়। উক্ত তহবিলটির গঠন ও পরিচালনার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে একটি কমিটি গঠিত হয়।
পারিবারিক চিকিৎসা তহবিলের সভাপতি হিসাবে মনোনীত করা হয় আলহাজ্ব মোঃ গোলাম আকবর, সহ-সভাপতি মোঃ আবুল আহসান, আবুল মহাসিন, আবু আবদুল্লাহ, সম্পাদক আবু জাফর, কোষাধ্যক্ষ আবুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ, সদস্য ও সম্বয়ক ডাঃ মোঃ আবুল ফজল।
গত ২৮ নভেম্বর ২০০৬ সালে “আলহাজ্ব ফজিলাতুনেছা চিকিৎসা সহায়তা তহবিল” নামে আই এফ আই সি ব্যাংক সাতক্ষীরায় একটি সেভিং একাউন্ট খোলা হয়। একাউট নং- ৪০৬৫৩১৮৩৮০০৩১। হিসাবটি যৌথ হিসাবে পরিচালিত হবে। তবে সভাপতি হিসাবটি যৌথ হিসাবে পরিচালিত সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের মধ্যে যে কোন একজনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। সভাপতির স্বাক্ষর ব্যতিরেখে কোন ভাবেই টাকা উত্তোলন করা যাবে না। সভাপতির অনুপস্থিতিতে ১নং সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করবেন। বিগত ২০১২ সালে এই তহবিলের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম আকবর মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত তহবিলের নামে ৩টি এফডিআর (৬লক্ষ টাকার) চালু ছিলো। সভাপতির মৃত্যুর পর ৩১.০৩.২০১৬ তারিখে তহবিলের সহ-সভাপতি না জানিয়ে উক্ত তহবিলের এফডিআরের ৬লক্ষ টাকা কৌশলে তহবিলের কোষাধ্যক্ষ আবুল বাশার ব্যবসায়িক একাউন্ট আই এফ আই সি ব্যাংক একাউট নং ০৪৬৫৭৭৮৪১৪০০১ মেসার্স এস.এস ট্রেডার্সের নামে এডজাস্টমেন্ট করে নেন এবং উক্ত চিকিৎসা একাউন্টটি ৩০.০৭.২০১৯ তারিখ বন্ধ করে দেয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি তহবিলের অন্যান্য অবগত হওয়ার পর তার কাছে জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ কোন উত্তর না দিয়ে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে হাকিয়ে দেয়।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তহবিলের অর্থ দিয়ে সুচিকিৎসা করানো। কিন্তু অবৈধ লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে উল্লেখিত কোষাধ্যক্ষ আবুল বাশার তহবিলের পুরো অর্থ নিজে আত্মসাথের উদ্দেশ্যে এফডিআর গুলো ভাঙ্গিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন।
তিনি উক্ত তহবিলের এফডিআরগুলোর টাকাসহ তহবিলের সমুদয় টাকা ফেরত এবং অবৈধভাবে টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িত থাকায় তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।