সাতক্ষীরায় ধর্ষন মামলার আসামীর নেতৃত্ব মামলা তুলে নিতে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিত নিজেই এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর পলাশপঝল এলাকার কাজী বাবুর ছেলে লম্পট মঝস্তাফিজুর রহমান জনি। এঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করি। ধর্ষক জনি এই মামলায় গ্রেফতার হয় কারাগারে যায়। কিছুদিন পর জামিন মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে খুন জকমের ভয় দেখিয়ে হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমি, আমার পিতা ও বোন রোকসানা আক্তারকে নিয়ে দোকানে মালামাল ক্রয় করতে আসলে মোস্তাফিজুর রহমান জনির নেতৃত্ব মৃত খোদা বকস মোড়লের ছেলে রাজু ও পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে মিঠু ও কামাল মিজার্র ছেলে লিটন মির্জাসহ ৩/৪ জন সস্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা আমাকে, আমার পিতা এবং বোনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
তিনি আরো বলেন, এসময় হামলাকারিরা আমার বড় বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং আমার পরন কাপড় ছিড়ে আমাকে শ্লীলতা হানি ঘটনায়। এঘটনা জানতে পেরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারিরা মামলা তুলে না নিলে খুন জখমসহ মিথ্য মামলায় জড়িয় হয়রানি করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এঘটনার পর আমি সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করি। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়ি রাজুর ভাই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি রেকর্ড না করে তালবাহনা করে যাচ্ছে। বিষয়টি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারি পুলিশ সুপার সদর সার্কেলকে অবহিত করি। কিন্তু তারপরও‘ আমার মামলাটি রেকর্ড না করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে ধর্ষনের যন্রনা নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে পথে ঘুরছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এই মামলাটি রেকর্ড না করায় ধর্ষকে জনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিজের অপকর্ম ঢাকতে ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় মামলা তুলে নিতে খুন-জখমসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমার পরিবারের সদস্যদের জীবনও এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অথচ এধরনের একটি স্পর্শকাতর মালাটি তুলে নিতে মারপিটের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। একজন অসহায় নির্যাতিত নারী হিসাবে ধর্ষক জনি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।