সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চতুর্থ দিনেও পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ রয়েছে। বৃহষ্পতিবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তবে, ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় ব্যবসায়ীদের পূর্ব এলসি করা ১৬৫টি পেঁয়াজভর্তি ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্রন রাখতে সাতক্ষীরায় চলছে টাস্কফোর্সের অভিযান।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আরাফাত হোসেন জানান, গত সোমবার থেকে হঠাৎ করেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না জানিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে চার দিন যাবত ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে কোন পেঁয়াজবাহি ট্রাক প্রবেশ করছেনা। তবে সীমান্তের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় ১৬৫টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ভোমরা বন্দর দিয়ে দেশে প্রবশের অপেক্ষায় আটক পড়ে আছে। টেন্ডার হয়েছে ২৫০ ট্রাক পেঁয়াজের। ভারতের দিল্লীর কাষ্টমস কমিশনার ঘোজাডাঙায় কি পরিমান পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক রপ্তানির অপেক্ষায় আছে ও কত ট্রাক টেন্ডার হয়েছে তা জানার জন্য ঘোজাডাঙা কাস্টমস কমিশানারকে চিঠি দিয়েছেন। দিল্লি কাস্টমস কমিশনারের অনুমতি পেলেই পূর্বের এলসিকৃত এ সব পেঁয়াজবাহি ট্রাক যে কোন সময় ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করবে।
ভোমরা স্থলবন্দরের শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহ (গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ৫৩৩ টি ট্রাক যোগে মোট পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১২ হাজার ৪৩৭ মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান, বৃহষ্পতিবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত কোন ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক এ বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেনি।
এদিকে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যাবসায়ীরা যাতে পেঁয়াজ মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি না করতে পারে সেজন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ মুরশিদা খাতুন জানান, বুধবার থেকে তারা ভোমরা স্থল বন্দরসহ বিভিন্ন পাইকরী ও খুচরা বাজার মনিটরিং করছেন।