জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্যালককে মারপিট ও খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলে এলাকার মৃত. শরিয়াতুল্লাহ বিশ^াসের পুত্র আব্দুল্লাহ বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন ও বোন হাবিবা খাতুনের সাথে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে হয়রানি এবং খুন জখমের চক্রান্ত চালিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে গত ০৭.৯.২০২০ তারিখ সন্ধ্যায় ভগ্নিপতি মোশাররফ, বোন হাবিবা খাতুন ও ভাগ্নে সানি, ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য মৃত. আতিয়ার সানার পুত্র আব্দুল গফফার, মৃত. মোকাম সরদারের পুত্র রবিউল ইসলাম, শাওন, আব্দুর রশিদ, মৃত. মোকছেদুর রহমানের পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলামসহ ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া ব্যক্তি লোহার রড, ধারালো অস্ত্র, ইটপাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমার উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। সে সময় আমার পকেটে থাকা ৩৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। এসময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার মাথায় মারাত্মক জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। আমার মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। আমাকে মারপিটের সময় শফিকুলের নির্দেশে উল্লেখিত আব্দুল গফফার, রবিউল ইসলাম, শাওন, আব্দুর রশিদ গং আমাকে জাপটিয়ে ধরে রাখে। যে কারণে আমাকে নির্মমভাবে মারপিট করতে পেরেছিল তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে কোন রকমে সুস্থ্য হয়েছি। এবিষয়ে প্রতিকারের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে আমাকে খুন জখমসহ পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ নগ্ন হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।