পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। যথাক্রমে বৃহষ্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের চাপড়া ব্রীজের পাশে ও দুপুর ১২টায় শহরের সঙ্গীতা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে ও আশাশুনি থানার সহকারি উপপরিদর্শক মোঃ শাহজামালউদ্দিন (৩৮) ও সাতক্ষীরা সদরের কাথন্ডা গ্রামের রইচউদ্দিনের ছেলে কাথন্ডা কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রশিদ (৬০)।
পুলিশ জানায়, সহকারি উপ-পরিদর্শক শাহজামাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে তার দায়িত্ব শেষে বুধহাটা এলাকা থেকে আশাশুনি থানায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের চাপড়া ব্রিজের আগে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ অফিস সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে সেখানে আগে থেকে দাড়িয়ে থাকা একটি বাঁশের ট্রাকের সাথে (যার নং-ঢাকা-মেট্রো-ট-২৪-২২৪৪) তার মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ সময় একটি বাঁশ তার পেটের ভিতরে ঢুঐক যায়। এতে তার ফুসফুস ছিদ্র হয়ে গুরতর জখম হলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সময় নাজমুছ সাহাদাত নামের এক পুলিশ সদস্য জখম হয়। তিনি আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদরের কাথন্ডা গ্রামের আব্দুল মাজেদ জানান, তার ভাই কাথন্ডা কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রশিদ বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টার দিকছ শহরের সঙ্গীতা মোড়ের ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। মঝটর সাইকেলটি সঙ্গীতা মোড় থেকে ঘোরানার একপর্যায়ে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক এসে তাকে চাঁপা দিয়ে চলে যায়। তাকে নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রশিদ মারা যান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় বাঁশ বোঝাই ট্রাকটি জব্দসহ এর ড্রাইভার কামাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, আব্দুর রশিদের ঘাতক ট্রাকটি আটক করা যায়নি। লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।