গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফের মাসিক সম্মানী ভাতার টাকা তাকে না জানিয়ে ও তার স্বাক্ষর জাল করে তুলে নিয়েছেন একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও অফিস সহকারী জসিম উদ্দীন।
এ বিষয়ে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফ গণমাধ্যমকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক উক্ত চেকের সত্যায়িত অনুলিপি দিয়ে বলেন, আমাকে না জানিয়ে আমার মাসিক সম্মানি ভাতা (জুলাই ‘২০) ২৭ হাজার টাকা গত ১৭ আগস্ট ‘২০ সোনালী ব্যাংক পাঁচুরিয়া শাখা থেকে উত্তোলন করে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু’র ভাতিজা ও তার দপ্তরের অফিস সহকারী জসীম উদ্দিন।
আমি গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সি.এ প্রভাস সাহাকে আমার গত জুলাই এবং আগষ্ট মাসের সম্মানি ভাতার চেক তৈরি করতে বললে সে জানায়, আমার জুলাই মাসের সম্মানী ভাতার ২৭ হাজার টাকার চেক গত ১০ আগস্টে তিনি দিয়ে দিয়েছেন। পরে তিনি সোনালী ব্যাংক পাঁচুড়িয়া শাখায় গিয়ে জানতে পারেন যে, চেকের পিছনে তার স্বাক্ষর জাল করে অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন টাকাটা তুলে নিয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে জসিমের সাথে তার একাধিকবার দেখা ও কথা হলেও তাকে একবারের জন্যও জানায়নি যে জসিম তার মাসিক সম্মানি ভাতার টাকাটা তুলে নিয়েছে। টাকাটা যদিও খুবই সামান্য কিন্তু আমাকে না জানিয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করে এভাবে টাকা গুলো তুলে নেওয়া আমি মোটেও সমর্থন করিনা।
তাছাড়া শুধু তার নাম দিয়ে টাকাটা তুললেও কোন সমস্যা ছিলো না। সে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথমে আমার স্বাক্ষর জাল করে টাকা গুলো তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পড়ে তার নিজ নাম জসিম উদ্দিন ২ বার স্বাক্ষর করে ও মোবাইল ০১৭৬৬-৭৭৮০২৭ নাম্বার সেখানে সংযুক্ত করে। আজ এখানে সে আমার স্বাক্ষর জাল করেছে, ভবিষ্যতে আমার স্বাক্ষর জাল করে আমাকে বড় ধরনের কোনো বিপদেও ফেলতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি। তাই আমি তদন্তের মাধ্যমে এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, চেয়ারম্যান স্যারের-সি.এ জি.এম.আবুল হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময়ে আমি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু স্যারের নির্দেশে তার ও অপর দুই ভাইস-চেয়ারম্যানের মাসিক সম্মানী ভাতার টাকা গত ১৭ আগস্ট সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ পাঁচুরিয়া শাখা থেকে উত্তোলন করি। আমি ব্যাংকে গিয়ে চেক জমা দেওয়ার পূর্বে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে ম্যানেজার সাহেবকে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ই। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফকে কেন বিষয়টি অবহিত করেননি প্রশ্ন করায় সে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।