সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় রাধানগর ও কামালনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাতক্ষীরা শহরের কেষ্ট ময়রার ব্রীজের পাশে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তেব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক ও জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিস আলী, সিপিবি’র জেলা শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, গণফোরামের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, মেহেদী আলী সুজয়, মুনসুর আলী, শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ফারকুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যো সাতটিই জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অপর দু’টি ওয়ার্ড আংশিক জলাবদ্ধতা রয়েছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। পানিতে রাস্তা ঘাটে ডুবে যাওয়ায় মানুষকে ট্রলিতে বা ভেলায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘরের মধ্যে ও পানি ঢুকে পড়ায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব। অনেকেই ঘরের মধ্যে রান্না করতে পারছেন না। ভেঙ্গে পড়েছে স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
পরিকল্পনাবিহীন গৃহনির্মাণ, চিংড়ি ঘের ও যত্রতত্র পুকুর ভরাট করে ফেলা, নর্দমা সংস্থার না করা, কালভার্ট নষ্ট হয়ে যাওয়া, বেতনা ও মরিচাপ নদীসহ তাদের সঙ্গে সংযোগ খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার এ পরিস্থিতিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খাল খননের নামে বার বার লুটপাট হয়েছে টাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা ঘের করার ক্ষেত্রে মৎস্য বিভাগের অনুমতি নেয়ায় পানি সরোনার জায়গা না রেখেই ভেড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি বছর পৌরসভায় বরাদ্দকৃত টাকা কালভার্ট সংস্থার ও নর্দমা সংস্কারের নামে লুটপাট হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সাতক্ষীরা পৌরসভার বদ্দীপুর, কামালনগরর একাংশ, কাটিয়া মাঠপাড়া, ডইয়ের বিল, রথখোলাসহ অঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকে। ভোট নেওয়ার সময় ছাগা পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা ওই সব মানুষের খোঁজখবর রাখতে সময় পান না বললেই চলে। তাই জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে পৌরবাসিকে বাঁচাতে পৌরসভা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসকের অফিস ঘেরাও করা ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই।