নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে মাঠ-ঘাট, ঘর-বাড়ি সহ বিভিন্ন স্থাপনা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যেই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
গোপালগঞ্জে বন্যাকবলিত মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা’র দিক নির্দেশনায়, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ রায়ের নির্দেশে কাশিয়ানী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা, ওড়াকান্দি, রাজপাট, হাতিয়াড়া, সিংগা, পুইশুর, বেথুরী ও নিজামকান্দি সহ মোট আট ইউনিয়নের বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে অত্যাধুনিক পানি বিশুদ্ধকরণ মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করেন। সেই সাথে পানি নিতে আসা মানুষের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও বিনামূল্যে বিতরণ করছেন।
আগামীকাল বুধবার (২৬ আগস্ট) উপজেলার রাতইল, কাশিয়ানী, মহেশপুর, মাহমুদপুর, পারুলিয়া ও সাজাইল সহ মোট ৬ ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে নিরাপদ খাবার পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলেও কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মিরান হোসেন মিয়া গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার গণমাধ্যমকে জানান, সেবামূলক এ কাজের তদারকিতে নিজ নিজ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীগণ সরাসরি মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত রয়েছেন।
“যতোদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততোদিন পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে তার দপ্তরের পক্ষ থেকে নিরাপদ খাবার পানি ও বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে”।