সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে অতি ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শণ ও পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
তিনি মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল ০৯টায় সরেজমিনে সদরের ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের সপারিঘাটা এলাকার পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শণ করেন ও পানিবন্দী অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন এবং বেতনা নদীর পলি অপসারণ করে ক্যানেল তৈরী করে পানি নিষ্কাষণ কাজ পরিদর্শণ করেন। এসময় এমপি রবি বলেন, ‘ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নসহ সদরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা অতি ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। স্থায়ী সমাধানে আমি বারবার মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে একনেকে পাশ করেছেন নদী ও খাল খননে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প। জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সাতক্ষীরায় আর জলাবদ্ধতা থাকবেনা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সাতক্ষীরায় আর জলাবদ্ধতায় কোন মানুষ পানিবন্দী হবেনা ইনশাল্লাহ। এই দু’টি ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রায় শতভাগ পূরণ হয়েছে। কোন মাটির রাস্তা বা কাচা রাস্তা থাকবেনা। আমি অসহায় মানুষের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারিনা। পানিবন্দী মানুষের কষ্ট দুর করতে অতি দ্রুত পানি নিষ্কাষণের উদ্যোগ গ্রহণ ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম শহিদুল ইসলাম, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য জিয়াউর বিন সেলিম যাদু প্রমুখ। সদরের ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে অতি ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়েছে বালুইগাছা, গৌবিন্দপুর, পারমাছখোলা, শাল্যে, কামারডাঙ্গী ও গোয়ালপোতাসহ দু’টি ইউনিয়নের প্রায় সকল গ্রাম। এসময় দলীয় ও জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।