সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ২০০০ দুর্গত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
সোমবার (২৪ আগস্ট) ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসক প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত মানুষের সাথে দেখা করে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত। সরকার অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল বাঁধে কাজ করা সম্ভব নয়, এজন্য মানুষের দুর্দশা লাঘবে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে হবে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সর্বাত্মক ভূমিকায় কাজ এগিয়ে নিতে হবে। মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও স্যানিটেশনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। ত্রাণ যথাযথভাবে বিতরণ করা হবে। কেউ নয়ছয় করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসুন আমরা একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
জেলা প্রশাসক সড়ক, নৌ ও পায়ে হেটে আশ্রয় কেন্দ্র ও বিভিন্ন সড়কে, বাঁধের উপরে আশ্রয় নেওয়া ২০০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেন।
ত্রাণ বিতরণকালে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচুর বৃষ্টিপাতে প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের একাধিক স্থানে পাউবো’র বেড়িবাঁধ ও রিং বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ইউনিয়ন ৩টির ৪৮টি গ্রামের ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।