পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষিকাসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ছয় জন। শনিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে সাতক্ষীরা সদরের তুজুলপুর গাছের পাঠশালার সামনে ও সকাল নয়টার দিকে শ্যামনগরের বড়কুপট গ্রামে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বড়কুপট গ্রামের দেবনাথ রপ্তানের স্ত্রী ও সোয়ালিয়া সাপের দুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নীতা রানী বৈদ্য (৪৫)। অপরজন হলেন সাতক্ষীরা শহরের রইচপুরের আব্দুল মাজেদ মোড়লের ছেলে মাহাবুবর রহমান বাবু (৪৬)।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের রইচপুরের মাজেদ মোড়লের ছেলে ভ্যানচালক মোকলেছুর রহমান (৩০), একই গ্রামের রজব আলী মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), একই উপজেলার সুপারিঘাটার সাধন চন্দ্র দাসের ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাস (২৮), শহরের ইটাগাছার খোকনের ছেলে সোলায়মান (২৫), একই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে ইসলাম (৩৩) ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের রেজোয়ান চৌধুরীর ছেলে শামীম চৌধুরী (২৮)।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল চিকিৎসাধীন শহরের রইচপুর গ্রামের মাজেদ মোড়লের ছেলে মোকলেছুর রহমান জানান, শনিবার দুপুর একটার দিকে তিনি মাধবকাটি বাজার থেকে ৮জন শ্রমিক নিয়ে কলারোয়ায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সোয়া একটার দিকে তুজুলপুর গাছেরপাঠশালার সামনে পিছন দিক থেকে আসা পাবনাগামী পরিবহন স্বপীল তার ভ্যানের পিছনে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি আম গাছের সঙ্গে আঘাত করে। পরিবহনের ধাক্কায় তিনি ও ভ্যানের ছয়জন যাত্রী জখম হন। এদের মধ্যে তাকেসহ সাতজনকে সাতক্ষীরা সদর এবং তার ভাই মাহাবুবুর বাবু ও ফারুক হোসেনকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সোয়া দু’টার দিকে ভাই মাহাবুবুর রহমান বাবুর মৃত্যু হয়।
এদিকে শ্যামনগরের বড়কুপট গ্রামের জয় রপ্তান জানান, বুধবার রাতে তাদের বাড়িতে এক বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা এক আত্মীয়ের মোটর সাইকেলের পিছনে বসে তার মা নীতা বৈদ্য শনিবার সকালে স্কুলে যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে তার মা বড়কুপট রপ্তানপাড়ায় ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বাবলার হ্যাচারির পাশে মোটর সাইকেল থেকে পড়ে মারাত্মক জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর ও শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ দুর্ঘটনায় মাহাবুবর রহমান বাবু ও নীতা রানী বৈদ্যর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশের ময়না তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।