সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় উপজেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় প্রায় এক’শ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেস গেছে সহস্রাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।বৃহস্পতিবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারের চাপে গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া গ্রামের ৬ টি স্থানে রিংবাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভ বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত ২০ ম ঘূর্ণিঝড় আম্পানে একই স্থানে বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে হাজার হাজার এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সে সময় রিংবাধ দিয়ে কোন রকম বেঁড়িবাধটি টিকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরের প্রবল জোয়ারে তা আবারও ভেঙ্গে গেছে। তারা আরো জানান, এখনই যদি বেঁড়িবাধটি সংস্কার করা না হয় তাহলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।
স্থানীয় গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত লেবুবুনিয়ার এই বেঁড়িবাধটি সংস্কারের জন্য সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু তারা এখনও কাজ শুরু করেননি। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরের জোয়ারে রিংবাধটি ভেঙ্গে আবার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। তিনি আরো জানান, দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা সম্ভব না হলে গোটা গাবুরা ইউনিয়ন প্লাবিত হবে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, ইতিমধ্যে বেঁড়িবাধ ভাঙনে কবলিত লেবুবুনিয়ায় বালুর বস্তা পাঠানো হয়েছে। এখন জোয়ার চলছে। ভাটা শুরু হলেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো জানান, এখন বর্ষকাল চলছে। এ সময় নদীর পানি বেশী থাকার কারনে সেনাবাহিনী এখনও বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু করেননি। তারা শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই সেখানে টেকসই বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু করবেন বলে এই পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা জানান।
এদিকে, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরন চক্রবর্তী জানান, তার উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া ও কোলা এবং আশাশুনি সদর ইউনিয়নের দেয়ারঘাট এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত রিংবাধ ভেঙ্গে দুটি ইউনিয়নের ৪/৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।
তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রৌকশলী সুধায়েশ কুমার সরকার জানান, তিনি ট্রলার যোগে তার বিভাগের আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে না হলে তিনি কিছুই বলতে পারবেননা।