ভারতীয় ভয়ংকর মাদক ফেনসিডিলে রমরমা ব্যবসা ও চোরাকারবার চলছে প্রকাশ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায়। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জন্য ভারত সীমান্ত এলাকায় যত্রতত্র ভাবে তৈরি হওয়া বিষাক্ত মাদক ফেনসিডিল ও ইয়াবা জেলার শহর গ্রাম পাড়া মহল্লায় সবখানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর এসব মাদকে আসক্তির বড় অংশ যুবকরা।
সাতক্ষীরা জেলায় ২৩৮ কিঃ মিঃ ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন চোরাপথ দিয়ে প্রতিদিন আসছে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল লক্ষ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদক। জেলার সবচেয়ে বেশি মাদকের চোরাকারবার হয় ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায়। এজন্য ভোমরা স্থলবন্দর এলাকাকে মাদকের স্বর্গরাজ্য ও বলা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর চেকপোস্ট মোড় থেকে বাদামতলা হয়ে ভোমরা ও আলিপুর চেকপোস্ট মোড় থেকে শ্রীরামপুর হয়ে ভোমরা পর্যন্ত ৩০টির ও বেশি মাদক স্পটে রয়েছে একশো জনেরও বেশি চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি।
ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন ঘোষপাড়া, কানপাড়া, লক্ষ্মীদাড়ি, ভোমরা টাওয়ার মোড় সহ আসপাশের এলাকায় রয়েছে একাধিক ছোট বড়ো মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক চোরাচালান চক্র।
এছাড়া গয়েশপুর, গাংনী ব্রিজ, বাদামতলা, মাহমুদপুর, আলিপুর, রয়িচপুর, বহেরা ইটভাটা, শ্রীরামপুর এলাকায় রয়েছে একাধিক মাদক স্পষ্ট। এসব স্পটে জেলা শহর ও বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শত শত মাদকসেবিদের প্রকাশ্যে মাদকসেবন করতে দেখা যায়। মাদক স্পষ্ট গুলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে মাদক নয় ফুচকা চটপটির দোকান।
একাধিক নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় এলাকার চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারিরা বহুদিন যাবত প্রকাশ্যে ভোমরা স্থলবন্দর ও বন্দরের আসপাশের এলাকায় মাদকের চোরাকারবার চালিয়ে আসছেন তারা। তাদের প্রত্যেকের নামে একাধিক মাদকের মামলাও রয়েছে।
এসব মাদক সাতক্ষীরা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে কৌশলে সরবরাহ করা ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বিক্রি করেন।
পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক বার ভোমরাসহ সাতক্ষীরার মাদক ব্যবসায়ী চোরাকারবারিদের নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করা হলেও কোনো রকম হেলদোল দেখা যায়না আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর। এ এলাকায় মাদক চোরাচালান, বিক্রি, সেবন চলে আসছে দিনের পর দিন প্রকাশ্যে বেপরোয়া ভাবে সবার চোখের সামনে।
ভোমরা এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী। মাদকের চোরাকারবারী করে অগাধ টাকার মালিক বনেগেছে তারা। অনেকে বিজিবি, পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এ এলাকায় মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তারা কাউকে পরোয়া করেনা। প্রকাশ্যে মাদকের এই অপব্যবহার রুখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন তারা।