১৯ অগাস্ট ‘বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস’। ১৮৩৯ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস’ পালন করা হয়।
ফটোগ্রাফির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ফটোগ্রাফির উন্নতির জন্য যারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন বা করছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই দিনটি পালন করা হয়।
১৭০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি সম্মানের সাথে পালন করা হয়।
মূলত আলোকচিত্র বা ফটোগ্রাফি বলতে কোন আলোকসংবেদী তলের উপর আলো ফেলার মাধ্যমে তৈরি ছবিকে বোঝায়। আলোকসংবেদী তলটি ফটোগ্রাফিক ফিল্ম হতে পারে আবার সিসিডি বা সিমস চিপের মত কোন ইলেকট্রনিক ছবি নির্মাণকারীও হতে পারে।
সাধারণত ক্যামেরা দিয়ে আলোকচিত্র নেয়া হয়। এখানে ক্যামেরার লেন্স বড় ভূমিকা পালন করে। এই আলোকচিত্র নেয়ার বা তোলার পদ্ধতিকে ফটোগ্রাফি বলে। একে আলোকচিত্র শিল্পও বলা যায়।
আধুনিক যুগে বাংলাদেশে আলোকচিত্রের ধরণটাই অনেকখানি বদলে গেছে। এখন অনেক নাম করা ফটোগ্রাফার বাংলাদেশে আছেন। ফটোগ্রাফি শুধু এখন আর শখই নয়, অনেকে এটাকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন।
আলোকচিত্রের গুণগত মানও বেড়েছে অনেক। তাছাড়া অনেক ধরণের ক্যামেরা বাজারে পাওয়া যায়। ডিএসএলআর, ডিজিটাল ক্যামেরা, তাছাড়া মুঠোফোনেও এখনও অনেকে ছবি তোলে।
সময়ের আবর্তনে হারিয়ে যায় অনেককিছু। যুগে যুগে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে , হচ্ছে। যখন ক্যামেরা তৈরি হয়নি এমনি কি কাগজও তখনও মানুষ মাটি, পাথর বা কাঠে খোদাই করে বিভিন্নভাবে ছবি এঁকে নানা দৃশ্য ধরে রাখত।
আর এখন বিজ্ঞানের অবদান ক্যামেরা। শুধুমাত্র সাটার টিপে দিলেই ক্লিক ক্লিক ফ্রেমে বন্দী হয় অসংখ্য ছবি।
আলোকচিত্র একটি সৃজনশীল কাজ। এই শিল্পকে আরও প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে ফটোগ্রাফিক সোসাইটি। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ফটোগ্রাফি অনেক প্রাধান্য পায়। এই আলোকচিত্র নিয়ে হয় অনেক প্রতিযোগিতা।
লেখক: ফয়সাল আজম অপু, লেখক ও সাংবাদিক