সাতক্ষীরার সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নে স্বামী পরিত্যক্তা পঞ্চাশোর্ধ এক গৃহবধূকে ধর্ষনের পর ছুরি দিয়ে জখম করেছে এক দূর্বত্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় নির্যাতিতা গৃহবধূ বর্তমান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল চিকিৎসাধীন স্বামী পরিত্যক্তা ওই গৃহবধূ জানান, কেউ না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তিন জনের একদল দূর্বত্ত তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তার ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ও মুখের উপর কম্বল চেপে ধরে এবং পিঠমোড়া দিয়ে হাত বেঁধে এক দূর্বত্ত তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। অপর দুই জন এ সময় বাহির পাহারা দিতে থাকে। এ সময় তিনি ধস্তা ধস্তির চেষ্টা করলে তার দুই হাত ও গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই দূর্বত্ত। তিনি এ সময় তার সাথে এ ধরনের অমানবিক কাজের জন্য জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান।
ধর্ষিতার মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমার মায়ের সাথে যে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তা আর কোন নারীর সাথে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য তিনি সরকারের কাছে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। দূর্বত্তরা এ সময় তার মায়ের কানের দুল ও পায়ের নুপুর ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজিবুর রহমান টুটুল এই অমানবিক কাজের নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ ফয়সাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমান সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ওই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরো জানান, তাকে চিকিৎসা দএয়ার পাশাপাশি আমরা মানসিকভাবে সার্পোটও দিচ্ছি। বর্তমান তিনি অনেকটা সুস্থ রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরর প্রস্ততি চলছে বলে তিনি আরো জানান।