জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক বৃদ্ধার মৃত্যুসহ চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে সোমবার সকাল পৌনে সাতটায় তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃতের নাম ফতেমা খাতুন (১০৩)। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের আফতাব আলীর স্ত্রী।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৮ জুলাই বিকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন (২) ভর্তি হন কালিগঞ্জের বাজারগ্রামর বৃদ্ধা ফাতেমা খাতুন। পরদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সোমবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রবিবার পর্যন্ত তার নমুনা রিপোর্ট আসেনি।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে লকডাউন করা হয়েছে তাদের বাড়ি।
এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করনোর উপসর্গ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৪ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২২ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবুসহ তার পরিবারের ৪ জন, তিন জন চিকিৎসক ও দুই জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সোমবার পর্যন্ত মোট ৮৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার সকালে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৪ হাজার ২৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ২৪৮ জনর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয় এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৮৩৯ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৬০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।