সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, সড়কের কাজের মান নিয়ে কাউকে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। যে সকল ঠিকাদার মানসম্মত ভাবে কাজ করে না, বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে না, তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।
গোপালগঞ্জ জোনের উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআরটিএ ও বিআরটিসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আমাদেরকে দুর্নীতির বৃত্তায়ন থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সকলের মাঝে দেশপ্রেমকে আরো বেশি জাগ্রত করতে হবে। জনগণের দেওয়া অর্থের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি অর্থ অপচয় করা যাবে না। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের প্রতি তিনি গভীর শোক ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা প্রবন সড়কগুলো প্রয়োজনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ন্যায় তৈরি করা হবে, যেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। আমি এই মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর, যোগ্যতার ভিত্তিতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি স্বাভাবিক নিয়মেই হয়ে চলেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভালো কাজের জন্য যেমন পুরস্কৃত করা হয়, তেমনি মন্দ কাজের জন্যও তাদেরকে তিরস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ জোন অফিসের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও রক্ষনাবেক্ষন উইং) এ.কে.এম. মনির হোসেন পাঠান, সওজ গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো.জাকির হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (গোপালগঞ্জ সার্কেল) মো.জাহাঙ্গীর আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ফরিদপুর সার্কেল) মো.জাবিদ হাসান, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. ম. নকিবুল বারি, গোপালগঞ্জ বিআরটিএ -এর সহকারী পরিচালক সুবীর সাহা, বিআরটিসি’র ব্যবস্থাপক নীহার মজুমদার, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে কর্মরত অন্যান্য প্রকৌশলীগণ সহ গোপালগঞ্জে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।