সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় “প্রেরণা” সাইন বোর্ডের আড়ালে বিতর্কিত শম্পা গোষ্মামী কর্তৃক এক ব্যক্তির পৈত্রিক সম্পত্তিত জোরপূর্বক পাকা ঘর নিমার্ণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বরয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহাস সরদারের ছেলে মোঃ এহছানুল হক এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নলতা মৌজায় এসএ ৫৪৯, ৪৪৪ ও ৫৩৯ নং খতিয়ানের ১৬৭৮ ও ১৬৭৯ দাগে ১.২৩ শতক জমির রেকডীয় মালিক হয়ে আমি ও আমার পিতা দীর্ঘ ৩৫/৩৬ বছর ধরে শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের আনন্দ মোহনের স্ত্রী এলাকার শম্পা গোষ্মামী “প্রেরণা” সাইন বোর্ডের আড়ালে আমার রেকডীয় সম্পত্তির আনুঃ ৫০ ফুট দৈর্ঘ ও ৮ ফুট প্রস্ত জমি দখল করে ঘর নিমার্ণ করতে থাকে। প্রতিবাদ করতে গেলে শম্পা গোষ্মামীসহ তার লোকজন আমাকে জেল খাটানোর হুমকি দিয়ে সরে যেতে বলে। এঘটনায় আমি নলতা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি ৭ জুলাই উভয় পক্ষকে হাজির হতে নৌটিশ করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে শম্পা গোষ্মামী হাজির না হওয়ায় পুনরায় ৩ আগষ্ট উভয় পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য অহবান করেন। এই দিনে শালিস কালিগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সেক্রেটারী এনামুল হোসেন ছোট, নলতা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনিছুজ্জামান খোকন, প্রধান শিক্ষক মোনায়েম হোসেন, শম্পা গোষ্মামীর প্রতিনিধি সুকুমার দাশ বাচ্চুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হন। এসময় আমি আমার সকল কাগজপত্র জমা দেই। উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখাকালে প্রতিপক্ষ নলতা মৌজার ২ নং খতিয়ান ১৩৭৬ দাগের দুই শতক কৃষিজমি ২০১৯-২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত জেলা পরিষদ থেকে ইজারা গ্রহণের কাগজ জমা দেন। বিরোধীয় বিষয়টি পর্যালোচনার এক পর্যায়ে উঠে আসে যে, জেলা প্রশাসকের মালিকানাধীন জমি শম্পা কিভাবে জেলা পরিষদ থেকে ইজারা গ্রহণ করেছেন? একপর্যায়ে মাপজরিপ করে বাস্তবতা দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে মর্মে আমরা বাদী বিবাদী উভয় স্বাক্ষর করি।
এহছানুল হক আরো বলেন, শান্তিপূর্ন পরিবেশ শালিসী বৈঠক থেকে ফিরে আসার পর ধুরন্ধর শম্পা গোষ্মামী বেলা দেড়টার দিকে বিরোধীয় সম্পত্তিত নিমার্ণ কাজ শুরু করে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তাৎক্ষনিক দফাদারকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের বার্তার তোয়াক্কা না করে দফাদারকে হাকিয়ে দিয়ে কাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে শম্পা অবৈধভাবে নিমার্ণধীন ঘরের আসবাবপত্র নিজেই ভাংচুর করে মজা দেখাচ্ছি বলে বে-আব্রু হয়ে ভীতির সৃষ্টি করে। এখানে কেউ জড়িত না থাকা স্বত্বেও শম্পা গোষ্মামী জেলার মধ্যে জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ও আমাকে জড়িয়ে সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, সম্মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি পরসম্পদলোভী ও পবিত্র নলতা নগরীর পবিত্রতা বিনষ্টকারি বিতর্কিত শম্পা গোষ্মামীর প্রেরণা সংস্থার নিবন্ধন বাতিল পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জবরদখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।