বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচনে আলোচনায় তালার আমিনুল ইসলাম দেবহাটায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময় ডাক্তার ফয়সাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সাংবাদিকদের মোবাইল, ক্যামেরা ছিনিয়ে বেধড়ক মারপিট নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি   উপকূল গবেষণায় লিডার্স কর্তৃক বৃত্তিপ্রদান তালার প্রতিবন্ধী এক নারীর যাতায়াতের রাস্তা আটকানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন তালায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবলুর রশিদের মতবিনিময় সাতক্ষীরার রমজান আলী হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় দুই আসামীর গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি তালায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা সমমনা সংগঠনের সাথে মিটিং

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি একদল মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা!

✍️নিকোলাস বিশ্বাস☑️:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১
  • ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

আগামীকাল শোকতপ্ত ১৫ আগষ্ট। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী। এ বছরই আমরা তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছি। তাই এবারের জাতীয় শোকদিবস খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধী পক্ষের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতি বছর ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মরণে দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারাদেশে জাতীয় শোকদিবস হিসেবে পালন করা হয়। শোকদিবসের অংশ হিসেবে এ দিনে কালো পতাকা উত্তোলন সহ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়।

১৯২১ সালের ১৭ মার্চ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা এদেশের মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এদেশের মুক্তির সংগ্রামে তিনি অপরিসীম ত্যাগস্বীকার করেন। দীর্ঘ চরাই-উৎরাই পার হয়ে তিনি এদেশকে পরাধীনতার গ্লানী থেকে মুক্ত করেন এবং সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি বেশীদিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতে পারেননি। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন কুচক্রী মহলের রোষানলে পড়ে তিনি মাত্র ৫৪ বৎসর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকদের ‍নির্মম বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে শহীদ হন। ঘাটকদের ‍নির্মমতা ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড সর্বোকালের চরম পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে!

আগামীকাল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী। শোকতপ্ত ১৫ আগষ্ট জাতির জন্য এক অন্ধকারময় অধ্যায়। ঐদিন ঘাতকদের বুলেট তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য-সদস্যাসহ শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। ইতিহাসের ওই নিষ্ঠূরতম হত্যাকান্ডের শিকার সকল শহীদদের প্রতি এদিন গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল তাঁদের আত্মার চিরকল্যাণে বিশেষ প্রার্থনাসভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করা হবে।

সারাদেশের ন্যায় গোপালগঞ্জের বানিয়ারচরেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় শোকদিবস পালন সহ ঐতিহ্যবাহী কাঙালী ভোজের আয়োজন করা হবে। আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগের কথা! দেশে তখন হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনকাল চলছে। ঐ সময় রাজনৈতিক ডামাডোলে দেশ প্রায়ই উত্তাল হয়ে উঠতো। তখন থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ হয়ে উঠে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বানিয়ারচরের (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) ঐতিহ্যবাহী কাঙালী ভোজ! হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া বাংলাদেশের অন্যতম পুন্যভূমি।

এই গোপালগঞ্জ জেলারই অন্তর্গত মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের আওতাধীন বানিয়ারচরের কয়েকজন সাধারণ মানুষ গত প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ১৫ আগষ্ট জাতির জনকের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থানীয় উদ্যোগে শোকদিবসের অনুষ্ঠান ও বিশেষ কাঙালী ভোজের আয়োজন করে আসছে। ঐসময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আজকের মত এতটা স্বচ্ছল ছিল না। তবুও এলাকায় জাতীয় শোকদিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কোন কিছু আয়োজনের মূলে থাকে আর্থিক সমর্থন। তখন এই সমর্থন পাওয়াটা ছিল অত্যন্ত কঠিন। গ্রামাঞ্চলে শোকদিবসের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে কাঙালী ভোজ অর্থ্যাৎ আর্থিক সংস্থান এখানে বড় বেশী প্রয়োজন।

বানিয়ারচর গ্রামের মাঝামাঝি গোপালগঞ্জ-টু-টেকেরহাট সড়কের পাশে রয়েছে একটি সুপরিসর বাজার। প্রতি বছর বাজারটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া হয়। বানিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা সদ্য-প্রয়াত তুফান বিশ্বাস নিয়মিতভাবে এই বাজারের ইজারা নিতেন। তখন এলাকায় এর জন্য তেমন কোন প্রতিদ্বন্ধিতা ছিল না।

গ্রামের মুরব্বি যথাক্রমে অনিল মণ্ডল, অধীর কুমার সাহা, নীরু মণ্ডল প্রমূখ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে সবিস্তারে জানা যায় যে, প্রায় ৩৫ বছর আগে যখন এলাকায় জাতীয় শোকদিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় তখন তুফান বিশ্বাস তার ইজারাকৃত বাজারে ঐ আগষ্ট মাসের প্রথম দু’সপ্তাহের আদায়কৃত অর্থ অনিল মণ্ডলের হাতে তুলে দেন কারণ তিনি তখন এলাকার জনপ্রতিনিধি ছিলেন্। এভাবে শুরু হয় জাতীয় শোকদিবস পালনের প্রথম তহবিল গঠন। পরবর্তীতে এই তহবিল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অনুদান সংগ্রহ করা হয়। তাই এর পিছনে রয়েছে এখানকার খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম ও ভালোবাসা। তবে এখন এর জন্য নিজস্ব তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে।

তুফান বিশ্বাস অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন না বটে কিন্তু তিনি ছিলেন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। সমাজ, ধর্ম ও রাজনীতি সহ সর্বক্ষেত্রে তার ছিল সমান পদচারণা। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবী, ধর্মভীরু, দয়ালু ও আদর্শ পিতা। তিনি আজীবন কর্মকে ধর্মজ্ঞান করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রয়াত তুফান বিশ্বাস ছিলেন বর্তমান ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের  ঐতিহ্যবাহী কাঙ্গালী ভোজ ও জাতীয় শোকদিবস আয়োজক কমিটির সভাপতি। সর্বোশেষ ২০১৯ সালে পালিত জাতীয় শোকদিবস অনুষ্ঠানে তিনি স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলেও ২০২০ সালের জাতীয় শোকদিবসে শারিরীক অসুস্থ্যতার কারণে আর অংশহগ্রহন করতে পারেননি। উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুন ২০২১ খ্রীষ্টাব্দে তুফান বিশ্বাস ৯৩ বৎসর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে পরলোকগমন করেন। আমরা তার আত্মার চিরকল্যাণ কামনা করি।।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ১৮:২৮ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!