২০২২ সালকে শিশু ও যুব দিবস ঘোষনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ইন্টারন্যাশনার ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার (আইওয়াইসিএম)। আজ দুপুর ১২:০০ টায় আইওয়াইসিএম এর বিভিন্ন জেলা কমিটির প্রধান ও সদস্যবৃন্দ তাদের নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
তার ই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা এর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন আইওয়াইসিএম এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির প্রেসিডেন্ট মোঃ তরিকুল ইসলাম অন্তর।
স্মারকলিপি প্রদান এর সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইওয়াইসিএম এর সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাবিবা সুলতানা, প্রজেক্ট লিডার সৈয়দ ইনামুল হাসান, প্রজেক্ট লিডার চাইল্ড উর্মি ইসলাম, নির্বাহী সদস্য সাদিয়া সুলতানা, মুস্তাকিম বিল্লাহ,মুজাহিদুল ইসলাম সাগর, রাশেদুল ইসলাম প্রান্ত, দেশের শিশু ও যুব সমাজের সুরক্ষার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়।
ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার একটি অলাভজনক-অরাজনৈতিক সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।২০১৬থেকে সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক গঠনমূলক ও উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। এর ১৩ টি জেলা কমিটি রয়েছে এবং দেশের প্রায় ২০,০০০ এর বেশি তরুণ সেচ্ছাসেবী এর সাথে যুক্ত আছেন। পাশাপাশি বিশ্বের ৭০ টিরও বেশি দেশে আইওয়াইসিএম এর প্রতিনিধি যুক্ত আছেন।
২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া মহামারীতে সামাজিক সুরক্ষা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে দেশের যুবসমাজ। ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের মতো বিভিন্ন স্থানে ছুটে গেছেন অক্সিজেন সেবা নিয়ে।জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করেছেন জনগণের জন্য।রক্তদানের মতো মহৎ কাজেও যুক্ত দেশের যুব’রা।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গত কয়েক মাসে দেশে শিশুদের প্রতি সহিংসতা দেখা গেছে প্রকটভাবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন দুর্যোগের প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে শিশু শ্রম, পাচার ও বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। এরূপ পরিস্থিতিতে আশ্রয়কেন্দ্রে ধর্ষণসহ অন্যান্য হয়রানির ঝুঁকি বাড়ে তাদের। এছাড়া করোনা মহামারীর সময়ে অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে শিশু নির্যাতনের মত ঘৃণ্য অপরাধের হারও। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল আড়াই হাজারের বেশি। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৬৩ (সূত্রঃপ্রথমআলো)
এই পরিস্থিতি পরিবর্তন ও শিশুর জন্য একটি সুন্দর শৈশব তৈরিতে শিশু সুরক্ষার আইন প্রয়োগ এবং সর্বক্ষেত্রে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। যুবসমাজের প্রতি দেশের আন্তরিকতা প্রকাশ ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেঞ্জ মেকার ২০২২ সালকে “শিশু ও যুব বর্ষ” ঘোষনার নিমিত্তে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়।