বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নদী ইছামতির সাতক্ষীরার ভাতশালা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া হাত, পা, মাথা কাটা লাশরে পরিচয় মিলেছে। সোমবার রাতে দেবহাটা থানায় যেয়ে নিজর মেয়ে মোসলেমা বলে সনাক্ত করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের জমিরউদ্দিনের স্ত্রী শাহীদা খাতুন।
এদিকে পুলিশ ঘটনার তদন্ত নেমে সদরের হাড়দ্দহ সীমার ইছামতী নদীর চর থেকে নিহতের দু’টি কাটা হাত উদ্ধার করেছে। তবে দু’টি পা ও মাথা উদ্ধার করতে পারেনি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, সোমবার দুপুরে ইছামতী নদীর দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা নামক স্থান থেকে হাত, পা ও মাথা কাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে লাশের পেটে একটি কালো পোড়া দাগ থেকে নিজের মেয়ে মোসলেমা বলে নিশ্চিত হন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুরের জমিরউদ্দিনের স্ত্রী শাহীদা খাতুন।
শাহীদা খাতুন জানান, সদরের লক্ষীদাড়ি গ্রামের শহীদুলের সঙ্গ মোসলেমার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামী মারা যাওয়ায় এক সান্তানের জননী মোসলেমার সঙ্গে ২০১৯ সালের মে মাসে সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের বাবুরালীর ছেলে রফিকুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করায় গত মার্চ মাসে মোসলেমা তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বিদেশ যায়। রফিকুল তার সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে মোসলেমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে শনিবার। রবিবার তিনি মেয়েকে দেখতে গেলে দেখা করতে দেয়নি রফিকুল ও তার বাড়ির লোকজন। মোসলেমাকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন চালিয়ে হাত, পা, ও মুন্ডু কেটে লাশ গুম করতে ইছামতী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা তাদের।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবুল আক্তার জানান, মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মোসলেমার লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। লাশের অবশিষ্ঠ অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।