মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাতক্ষীরার কুখরালীতে গোলাম রহমান হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুরের মত পরিবর্তন করতে হলে জামায়াত ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে: মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বেগম খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনা করে কালিগঞ্জের ধলবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিলে কাজী আলাউদ্দীন গোপালগঞ্জে সাংবাদিক-পুলিশ মিলেমিশে কাজ করলে অপরাধ মুক্ত জেলা গড়ে তোলা সম্ভব- নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ হাবীবুল্লাহ  উত্তরণের ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপের সভা তালায় মুক্তি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প অবহিতকরণ সভা তালায় অর্ধবার্ষিক লবি সভা অনুষ্ঠিত তালায় নবাগত ইউএনও’র সাথে সুধীজনদের মতবিনিময় সভা ডিবি পুলিশের অ ভি যা নে কলারোয়া সী মা ন্ত থেকে ২শ ৬৫ বো ত ল কো রে ক্সসহ আ ট ক-১ সাতক্ষীরায় চলছে ডিজিটাল স্মার্ট বোর্ড ও অ্যাটেনডেন্স রিডার মেশিন ব্যবহার বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ

আশাশুনির কোলায় ঘের নিয়ে হয়রানি ও মিথ্যেচারের প্রতিবাদে ব্যবসায়িদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১
  • ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার আশাশুনির কোলায় ঘের নিয়ে ভন্ড আমজাদ কর্তৃক হয়রানি ও মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আশাশুনির কোলা গ্রামের মির্জা কামরুজ্জামান, মোঃ আশরাফ আলী, মোঃ নাজির আলম, আফসার উদ্দীন শেখ ও মির্জা মিলন হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা কামরুজ্জামান বলেন, কোলা মৌজায় মরহুম বসির আহমেদ রেকর্ডীয় এবং খাস ৭০৩ বিঘা জমিতে মাছের ঘের করতেন। তার মৃত্যুর পর আমরা জমির মালিকরা মিলে উক্ত মাছের ঘের পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেই এবং ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আমি না থাকলেও দেখভাল করতাম। কিন্তু কিছুদিন পর মৃত অহেদ আলী মোল্ল্যার ছেলে আমজাদ হোসেন ঘেরে থাকা খাস জমি দখলের পায়তারা শুরু করে।

এতে আমিসহ অন্যরা বাধা দিলে আমজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। এনিয়ে আশাশুনি থানাসহ জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একাধিকবার শালিস হলেও ঘেরে কতটুকু জমি আছে আমজাদ তার হিসাব না জানিয়ে খাস সম্পত্তি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে থানার ওসি’র নির্দেশে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে হিসাব করে তার ভাগে ৬৭ বিঘা জমি পড়লে তা বের করে দিয়ে আমরা বাকী জমি নিয়ে ঘের পরিচালনা শুরু করি। এতে খুশি না হয়ে সে আরো সম্পত্তি দখলের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমজাদ আমাদের হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়েরসহ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যেচার করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, একাধিক মামলার আসামী আমজাদ ম্যাগনেট, টক্ক সাপ ও ভুতুম পেচা ব্যবসায়ী। জাল টাকা কারবারের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। মুর্তি চুরির অপরাধে বাগেরহাট প্রতœতত্ত্ব অফিস থেকে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। প্রতারনা করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া তার ব্যবসা। প্রতারনার মাধ্যমে ২০১০ সালে জনৈক মাফাজ্জেল হোসেনের কাছ থেকে সে ৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। এঘটনায় জেলে যেতে হয় তাকে। তার বাড়িতে প্রতিনিয়ত ভিন্ন জেলার মানুষ আসা যাওয়া করায় এলাকার মানুষ সব সময় অতংকে থাকে। বিগত ২০১৬ সালে নৌকার অফিস ভাংচুর এবং জাতির জনকের ছবি ছেড়ার অভিযোগে আমজাদের নামে মামলা হয়। অথচ সেই আমাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মির্জা কামরুজ্জামান আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমজাদ একজন ভূমিদস্যু। তার পৈত্রিক কোন সম্পত্তি নেই। উক্ত ঘেরে যে টুকু সম্পত্তি রয়েছে সেটি তার নানা বাড়ির সম্পত্তি। তার নিজস্ব কোন ব্যবসা বা আয়ের উৎস না থাকলেও সে কোটি টাকার মালিক।

বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনে প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া ২০১৩ সালে র‌্যাব আমাকে আটক করেনি। আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। অথচ আমজাদ র‌্যাবকে নিয়েও মিথ্যেচার করেছেন।

আমরা কালোবাজারী আমজাদের কবলে পড়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছি। তিনি আমজাদের হয়রানির হাত রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!