এ কোন অচেনা ও অজানা অদৃশ্য শক্রুর রোষাণালে পড়েছে উদ্বোধকের নাম সম্বলিত সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকটির ফলক। দুই দুইবার ঐ ফলকটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, কাজী আকতার হোসেনসহ একাধিক সদস্য বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা শহীদ, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরার বীর শহীদ ও স্বাধীনতা অর্জনে শহীদ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গত ০৯/০২/২০১৬ সালে প্রধান অতিথি হিসেবে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামের এ প্রধান ফটক গেটটি উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক এ গেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেদিন উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির পিপিএম (বার), তৎকালীন সাতক্ষীরার ৩৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরমান হোসেন পিএসসি ও তৎকালীন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজামউদ্দিন। এর ১ মাসের মধ্যে ফলকটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এর পর ০২/১১/২০১৬ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এ.কে.এম আনিছুর রহমানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। এই প্যানেল দায়িত্বভার গ্রহণ করে ১ মাসের মধ্যে উদ্বোধকের নাম সম্বলিত ফলক সেই ভাঙ্গা জায়গায় নতুৃন করে স্থাপন করেন তৎকালীন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান। আবার ২২/০৯/২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে দুইজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় লটারীতে হেরে যায় এ.কে.এম আনিছুর রহমান। তবে তার প্যানেল থেকে অন্য প্যানেলের চেয়ে বেশি ১৭ জন সদস্য নির্বাচিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খানের নতুন প্যানেল দায়িত্বভার গ্রহণ করার ১ মাসের মধ্যে আবারও ভেঙ্গে ফেলে হয় সেই ফটকের উদ্বোধকের নাম সম্বলিত ফলক। ভেঙ্গে ফেলা প্রধান ফটকের ফলকের ১০ গজের মধ্যে রয়েছে জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরার সেই ফুটেস পর্যালোচনা করে দেখলেই শনাক্ত করা যাবে কে সেই অদৃশ্য অপরাধী। কি কারণে বা কি উদ্দেশ্যে এই নাম ফলক বারবার ভেঙ্গে ফেলছে। এই নিকৃষ্ট ঘটনাটি অজানা রয়ে গেছে। তাই সাতক্ষীরার ক্রীড়াপ্রেমি মানুষ ও সাতক্ষীরার সচেতন মহল রহস্যটি উদঘাটন পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে এবং সেই সাথে জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।