সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনি চাপড়া সড়কের দু’পাশে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের কোটি টাকা মূল্যের শতবর্ষী বৃক্ষ লোপাট করছে একটি প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ চক্র। বেপরোয়া ভাবে সংঘবদ্ধ চক্রটি ইতিমধ্যে সড়কের পাশে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের আওতাধীন দুই শতাধিক মূল্যবান বৃক্ষ দিন দুপুরে প্রকাশ্যে কেটে নিয়ে গেছে।
সরজমিনে যেয়ে দেখাযায় সড়কের পাশে বড়ো বড়ো গাছের গোড়া আছে গাছ নেই।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে চক্রটি সাতক্ষীরা – চাপড়া সড়কের পূর্ব দহখুলা ইট ভাটার এলাকায় সড়কের পাশে জেলাপরিষদের কয়েকটি বাবলা গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজনকে আটক করে এলাকাবাসী। অবস্থা বেগতিক দেখে গাছ কাটার কাজে ব্যাবহৃত কুড়াল করাত ও কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে এলাকাবাসীর পক্ষে ওমরপাড়া এলাকার ইব্রাহিম মোড়ল এর ছেলে মোঃ রিপন মোড়ল সরকারি বৃক্ষ লোপাট চক্রের ৫জনের নাম উল্লেখ করে জেলা পরিষদ এর নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখত অভিযোগ করে।
বৃক্ষ লোপাটে অভিযুক্তরা হলেন ব্রহ্মরাজপুর এলাকার নিলী বিশ্বাস এর ছেলে স্বপন বিশ্বাস, দহখুলা পূর্বপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল সরদার, ধুলিহর সানাপাড়া এলাকার খোরশেদ সানার ছেলে সালাম সানা, জনাব আলীর ছেলে জাফর সানা ও নূর আলীর ছেলে বারী। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্বপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সড়কের পাশে সরকারি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গেছে। তারা কয়েক বার এলাকার জনগণ, ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার হাতে গাছ কাটার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছে। ব্রাহ্মরাজপুর, ধুলিহর এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে শুধুমাত্র কয়েকজন কর্মকর্তাদের নাম করে প্রকাশ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে তারা।
ব্রহ্মরাজপু ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম জানান, গত কয়েক দিন আগে পূর্ব দহখুলা এলাকায় স্বপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে তারা জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি বড়ো বড়ো গাছ কাটে নিয়ে যাচ্ছিলো। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ইঞ্জিন ভ্যান আটকে আমাকে জানালে আমি গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে এনে রেখেছি।
ব্রহ্মরাজপু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব রফিকুল ইসলাম জানান, গোপনে খবর পেয়ে ব্রহ্মরাজপু সাহেববড়ীর মোড়ে স্বপন বিশ্বাসের স্’মিলে যেয়ে সাতটি সরকারি মেহগনি গাছ আটক করি। গাছ গুলো তার স্’মিলে কে এনে রেখেছে সেটি বলতে পারোনি স্বপন বিশ্বাস। এবিষয়ে জেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তবে সরকারি গাছ লোপাটের কথা অশিকার করে স্বপন বিশ্বাস বলেন, আমাদের গাছ কাটার অনুমতি রয়েছে। জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নলেজে দিয়েই গাছ কাটি। আমার কাছে টেন্ডারের কাগছ আছে। টেন্ডারের কি কাগজ আছে দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেনি।
গাছ লোপটের বিষয়ে জানতে চাইলে, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত স্বপন বিশ্বাসের নামে মৌলিক ও লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জেলা পরিষদের নির্বাচনের পর এবিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।