শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় মা দ ক সে বী স্বামীর অ ত্যা চা র নি র্যা ত ন থেকে নি ষ্কৃ তি পাওয়ার দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন মৌতলা বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষ প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা এনবিবিকে আল মদিনা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক ডা. আবদুল ওহাব আজাদ শ্যামনগরে ৩ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও ১শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে স্কুলব্যাগ বিতরণ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজা ও শিবিরের বিক্ষোভ সাতক্ষীরায় স্টিউডেন্টস ট্যালেন্ট এ্যাসিস্ট্যান্স ফোরাম (স্টাফ) এর উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হা দী হ ত্যা কা রী দে র বি চা রে র দা বি তে তা লা য় আ গু ন জ্বা লি য়ে বি ক্ষো ভ মি ছি ল! সাতক্ষীরায় জাতি গঠনে শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা শীর্ষক চার জেলার সাংবাদিকদের চারদিনের প্রশিক্ষণ শুরু দুদক উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ এঁর বিদায় সংবর্ধনা ওসমান হাদির মৃত্যুতে গোবিপ্রবি উপাচার্যের গভীর শোক প্রকাশ

তালার ৩ সন্তানের জননী একলিমা বেগমের ৪১ বছর পরে সন্ধান মিললো পাকিস্তানে

✍️সেলিম হায়দার📝তালা প্রতিবেদক☑️
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২
  • ৩০০ বার পড়া হয়েছে

একলিমা বেগম (৬৫) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল শেখের মেয়ে ও তিন সন্তানের জননী। স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
১৯৮১ সালের কোনো এক দিন হারিয়ে যান একলিমা বেগম। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে সন্ধান মিলছে তার। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

দীর্ঘ ৪১ বছর পর পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিলওয়ালীতে খোঁজ মিলেছে তার। কিভাবে তিনি সেখানে পৌঁছালেন সেটি বলতে পারছেন না তিনিসহ কেউই।

একলিমা শুধু মনে করতে পারছেন, তার বাবা-মাসহ ভাই ও তালার গঙ্গারামপুর গ্রামের নামটি।

পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিলওয়ালীতে পরিবারের সঙ্গে অবস্থানরত একলিমা মৃত্যুর আগে অত্যন্ত একবার নিজ মাতৃভূমিতে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। সেখানে তার পরিবারের সদস্যরা সেটি ভিডিও করে ফেসবুকে যশোরের একটি গ্রুপে পোস্ট করেন।

তাদের করা ভিডিওটি চোখে পড়ে একলিমা বেগমের বড় ভাই মৃত মকবুল শেখের ছেলে মো. জাকির শেখের। ভিডিওতে একলিমার বলা নামগুলো তার দাদা-বাবা ও চাচাদের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তিনি বিষয়টি বাড়িতে আলোচনা করেন। ভিডিও দেখিয়ে নিশ্চিত হন, ভিডিওর একলিমা বেগমই তার হারিয়ে যাওয়া ফুফু। এরপর তারা পারিবারিকভাবেই ভিডিও কলে যোগাযোগ করেন একলিমার সঙ্গে।

একলিমা বেগমের ছোট ভাই ইব্রাহিম শেখ জানান, সেসময় আমাদের অনেক অভাব ছিল। তার স্বামী মারা গেলে সে যেন প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল। পরে কীভাবে যে পাকিস্তানে চলে যায়, তা আমরা কেউই জানি না। কয়েকদিন আগে তার খোঁজ পেয়েছি। আমরা চাই সে ফিরে আসুক।

একলিমা বেগমের বড় ভাই মৃত মকবুল শেখের ছেলে জাকির শেখ বলেন, কিছু দিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফুফু একলিমার খোঁজ পাই। তারপর থেকে তার সঙ্গে বাড়ির সবার নিয়মিত কথা হচ্ছে। তিনি আমাদের এখানে আসতে চান। এজন্য তাদের কাছে ইনভাইটেশন লেটার পাঠানো হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দূতাবাস সহযোগিতা করলে তিনি আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, ফুফুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তিনি পাকিস্তানের একটি শেল্টার হোমে ছিলেন। সেখানে মুহাম্মদ সিদ্দিক নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। মুহাম্মদ সিদ্দিক কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। সেখানে তাদের পরিবারে দুটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে রয়েছে। আমরা চাই তারা এখানে বেড়াতে আসার সুযোগ পাক। এজন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি।

একলিমা বেগমের প্রথম ঘরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে হেকমত আলী কাজ করেন ঢাকার একটি কারখানায়।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!