সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী সাচিতা হোসেন সেঁজুতি হত্যার ঘটনার ৮দিন পর তার প্রেমিক কলেজ ছাত্র আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার রাত ১০ টায় দিকে কলারোয়া পৌরসভার আফজালের মোড় থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহমান সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম মোঃ সালাহউদ্দিনের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেন পলাশের মেয়ে কলারোয়া পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সানচিতা হোসেন সেঁজুতির সাথে প্রতিবেশি আলতাফ হোসেনের ছেলে কলারোয়া সরকারি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহমানের সাথে একবছর আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৭ মার্চ স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয় সেঁজুতি। পর দিন গ্রামের মাষ্টারপাড়ার আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের পাশে ইউনুছ আলীর ধান খেতের পানির ড্রেনে দু’ হাত বাঁধা উপুড় করা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তাকে ২৭ মার্চ রাতে অন্যত্র শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ওই ড্রেনের উপর ফেলে রাখা হয় মর্মে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। এ ঘটনায় র্যাব সেঁজুতির প্রেমিক আব্দুর রহমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া সেঁজুৃতির বাবা সোহরাব হোসেন পলাশ, বিল্লাল হোসেন ও আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভশেষে রবিবার রাত ১০টার দিকে আব্দুর রহমানকে কলারোয়া পৌরসভার আফজালেল মোড়ের ব্রীজের পাশ থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ সোহরাব হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে জানান, রবিবার রাত ১০ টার দিকে আফজালের মোড় থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহমান জানায় যে, সেঁজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের একটি বাড়ির প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খায় সেঁজুতি। এ সময় সে অচেতন হয়ে গেলে গলায় ওড়না পেচিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পানির ড্রেনের উপর ফেলে যায় সে। আব্দুর রহমান তার প্রেমিকা সেঁজুতিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম মোঃ সালাহউদ্দিনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ছে।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মাহাবুবর রহমান বলেন, আব্দুর রহমানকে সোমবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।