মহামারি করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় সারা বিশ্বে আবারো থমকে দাঁড়ানোর পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও সাতক্ষীরায় করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে সরকার সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে।
মোবাইল কোর্ট ও পুলিশের ভয়ে কিছু মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও জনসমাগম, সভা-সেমিনার, ধর্মীয় জলসা, কনসার্ট সবই চলছে পুরাদমে।
অথচ পহেলা এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তি পত্র-পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সকল ধরনের সভা সমাবেশ, জনসমাবেশ, ইসলামী জলসা, সামাজিক, রাজনৈতিক সভা, নামযজ্ঞ,প্যাগাডায় প্রার্থনা আগামী ১৫ দিনের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেন। এমনকি ২ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেসবুক লাইভে এলেও এগুলোর অধিকাংশই মানা হচ্ছে না। পহেলা এপ্রিল থেকে শহরের মধ্যেই শহরের কুমকরালিসহ একাধিক ইসলামী জলসাসহ বিভিন্ন ধরনের জনসমাবেশ, কোচিং সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র, খেলাধূলা অব্যাহত রয়েছে।
যদিও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের জন্য একাধিক স্থানে জরিমানা করা হয়েছে। তারপরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিভিন্ন ধরনের সভা সেমিনারের আয়োজন এবং অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকেও কেন্দ্রীয় থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘরোয়াভাবে করতে নির্দেশ দিয়েছে। সরকার সচেতন করেছেন। আমরাও করেছি। সচেতন মানুষদের উচিত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।
সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু ও মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, করোনায় দিন দিন আক্রান্তও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। অথচ সাতক্ষীরায় সব কিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। মানুষ বুঝতে চান না যে আমি ভালো থাকলে আরেকজন ভালো থাকবে। তিনি সভা-সেমিনার বন্ধে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।