সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স শেখ আব্দুল অমিক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী শেখ আব্দুল অমিক দীর্ঘ ২৩ বছর দেশের বিভিন্ন কারাগারে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের অনিয়ম নিয়ে মাঝে মাঝে মন্তব্য করলেও তিনি সর্বদা কারা অধিদপ্তরের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
বাদী শেখ আব্দুল অমিক আদালতে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত একজন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা হিসেবে তাকে দেশের সব কারাগারে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা অন্যায় ও বেআইনি। এ ঘটনায় বাদী গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে মহাপরিদর্শককে প্রতিবাদপত্র দেন এবং পরবর্তীতে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। প্রতিবাদপত্র ও লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার পরও বিবাদীপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারণে তিনি আদালতে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম আবুবকর সিদ্দিক আদালতে বলেন, “আমার মক্কেল একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। তাকে বেআইনিভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপমানিত করা হয়েছে। এজন্য মানহানির ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে জারি করা এক আদেশে তাকে দেশের সব কারাগারে অবাঞ্ছিত (Persona non-grata) ঘোষণা করা হয়। এর ফলে তিনি সম্মানহানি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এজন্য তিনি ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন বাদী। আদালত নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দাখিলের জন্য আদেশ দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বাদীপক্ষ সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দাখিল করার পর আদালত বিবাদীপক্ষকে সমন ইস্যু করার নির্দেশ দেন। আদালত আগামী ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের জিপি (সরকারি কৌশলী) অসীম কুমার মন্ডল বলেন, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। মহাপরিদর্শকের পক্ষ হতে কেন এ ধরনের আদেশ দেওয়া হয়েছিল তার যৌক্তিকতা তিনি আদালতে উপস্থাপন করবেন। মামলাটি বর্তমানে সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।