গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের মৃত- লেবু মোল্লার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন মোল্লা (দুলাল)।
গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে রাজধানীর জোয়ার সাহারা মৌজার ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদি মাটিকাটা এলাকায় ৫ কাঠা জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে যেতে পারছেন না স্থানীয় দালাল চক্র ও ভূমিদস্যুদের কারনে গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করে তার ক্রয়কৃত জমির দখল বুঝে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সাব কবলা দলিলের বিবরনে জানাগেছে, ক্রয়কৃত প্লটটি ঢাকা জেলার ক্যান্টনমেট ও সাব রেজিষ্ট্রি গুলশান অধীন কালেক্ট্ররীর তৌজিভুক্ত। জে,এলঃ সি,এস ২৭১, আর,এস ৬ নং, ঢাকা সিটি জরিপে ৩নং মৌজা “জোয়ার সাহারা” স্হিত দাগের ৮.২৫ অযুতাংশ (পাঁচ কাঠা) ডোবা জমি ক্রয় নগদ ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মৃত- বাচ্চু মিয়াজির ছেলে জাবেদ আলী মিয়াজী গং – (মো. বারিক আলী, মো. রিপন, লিটন উদ্দিন, নিলুফার বেগম, শিরিন আক্তার, শারমিন আক্তার, মো. নাজিরুল ইসলাম, মোছাঃ শাহিদা খাতুন, মো. মফিজুল ইসলাম, হাজী মো. অলিউল্লাহ, মো. আমির হোসেন, সালেহা বেগম, রাজিয়া বেগম, মো. হাবিব) এর নিকট হতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন মোল্লা (দুলাল) ২০২০ সালে ৫ কাঠার প্লটটি ক্রয় করেন। সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. মনির হেসেন ও মো. নিয়ামত উল্লাহ। সনাক্ত কারী ছিলেন মো. আসাদ খান। জমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিনের নামে নামজারী হয় গত ২৯/০৯/ ২০২১ ইং তারিখে যাহার নং- ৮৫৩২/ ২০-২১। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন ১৮/০৫/২০২২ ইং তারিখে। সম্পূর্ণ বৈধ ও আইনি প্রক্রিয়ায় জমিটি ক্রয় করে দখলে যেতে পারছেন না তিনি। জমির বর্তমান মালিকের কাছে জমির দালাল আসাদ খান মোটা এবং অংকের টাকা দাবি করেন, টাকা দিতে অস্বীকার করায় দালাল ও তার সাথে জড়িত কিছু অসাধু সাংবাদিক, স্থানীয় ভূমিদস্যূদের দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ও জমিতে যেতে বাঁধা দেয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মোল্লা দালাল চক্রের ভয়ে জমিটির দখলে যেতে পারছেন না। ঘুরে বেড়াচ্ছে আইনের দ্বারে দ্বারে। আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানী পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেন এই সকল সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আজ তারাই অসহায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন মোল্লা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। আজ একটু ভালো থাকার জন্য নিজের গচ্ছিত ও গ্রামের জমিজমা বিক্রি করে রাজধানীর জোয়ার সাহারার মানিকদিতে এই ৫ কাঠা জমি ক্রয় করি। জমির দালাল আসাদ খানের মাধমে। তার সাথে আমার কথা ছিলো জমিটি ক্রয় করা হলে তাকে সাধ্যমত কিছু টাকা দেব। আমি তাকে টাকাও দিয়েছি। জমির দাম আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় এখন সে আরো মোটা অংকের টাকা আমার কাছে দাবি করছে। দালালকে টাকাটা দিতে অস্বীকার করার কিছুদিন পরেই সে কিছু অসাদু সাংবাদিক ও এলাকার ভূমিদস্যু চক্রের লোকজন নিয়ে আমাকে আমার জায়গায় যেতে বাঁধা দেয়। আমাকে বলে জায়গার কাছে আসলে জানে মেরে ফেলবো। আগে আমাকে ৫০ লক্ষ টাকা দিবি তারপর যায়গায় আসবি। আমি আমার যায়গায় যেতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমার দাবি ক্রয়কৃত আমার যায়গায় যাতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে পরিবারের লোকজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি সে ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে ক্যান্টনমেন্ট থানা, সাবরেজিস্ট্রি অফিস গুলশান, এ্যাসিল্যান্ড সহ ভূমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন মোল্লা।