সাতক্ষীরা শহরে এক গৃহবধুকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাত ১২টার দিকে শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম খাদিজা খাতুন (২৯)। তিনি শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৩৫) এর স্ত্রী ও সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়ানের গোলাম মোস্তফা মেয়ে।
নিহত খাদিজার ছোট ভাই ফারুক হোসেন সোহাগ বলেন, রবিবার গভীর রাতে আমাকেফোন করে জানানো হয় যে খাদিজা অসুস্থ সদর হাসতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখানে এসে তিনি দেখেন তার বোনের মরদেহ পড়ে আছে। কর্তব্যরত ডাক্তার বলেছেন, হাসপাতালের আনার আরো ১ঘন্টা আগেই তিনি মারা গেছেন।
তিনি জানান, তিনি হাসপাতালের আগেই তার দুলাভাই আবুল কালাম আজাদ মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছেন। তার কাছে ফোনও করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার পরিবারের কেউই তার বোনের খেঁাজ-খবরও নেননি। তিনি আরো জানান, তার বোনের কান দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেছে এবং গলার দাগ রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বদ্বের জেরে স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে তিনি ধারনা করছেন। এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগও দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন তাকে নির্যাতন করে আসছিল। তারা আরো জানান, তাকে তারা নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে তারা প্রথিমিকভাবে ধারনা করছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন নিহতের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি আরো জানান।