ক্রমবর্ধমান হারে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সকল নাগরিককে টিকা প্রদান এর অংশ হিসেবে পোষাক কারখানার শ্রমিকদের টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। কোন রকম নিবন্ধন ছাড়াই শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র দেখি ১২ হাজার পোশাক শ্রমিককে দেয়া হচ্ছে এ ভ্যাকসিন রোববার সকালে কোনাবাড়ি এলাকায় তুসুকা ডেনিম লিমিটেড কারখানায় গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এ টিকাদান কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন।
এসময়, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা : মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান, বিজি এমই সভাপতি ফারুক হাসানসহ স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলার সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদেরকে সরাসরি কারখানায় এই টিকা প্রদান কাজ শুরু করা হয়েছে। রোববার সকালে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি তুসুকা ডেনিম এন্ড ওয়াসিং লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার লিমিটেড, গাজীপুরের লক্ষীপুরা এলাকার স্প্যারো এপারেলস লিমিটেড ও ভোগড়া এলাকা রোজ ভ্যালী এপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকদের এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তালিকানুয়ায়ী তুসুকা ডেনিম এন্ড ওয়াসিং ও তুসুকা ট্রাউজার কারখানায় ৬ হাজার দুইশ,স্প্যারো এপারেলস ৪ হাজার এবং রোজ ভ্যালী এপারেলস কারখানার ২ হাজার ৭শ শ্রমিককে ভ্যাসসিন প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান, সিভিল সার্জন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মতি নিয়ে রোববার থেকে গাজীপুরে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। ঈদের আগে ১৯ জুলাই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। পরে পোশাক কারখানা ছাড়াও অন্যন্য কারখানার শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ টিকার আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
গাজীপুর সিটি করপোশেনের মেয়র মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, সম্মুখ সারি লোকজন বলেই রেজিষ্ট্রন ছাড়াই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে গাজীপুর সিটির সকল নাগরিককেই টিকার আওতায় আনা হবে।
বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান জানান, দেশের অর্থনীতিতে শ্রমিকরা বিশেষ ভুমিকা পালন করছে। তাদের ভ্যাকসিনের আওয়াতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।