কপোতাক্ষের নদের উপর সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোষনগর খেয়াঘাটের নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাঁকা পারাপারে প্রতিনিয়ত ঘটেছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোঃ কুদ্দুস শেখ, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ মনিরুজ্জামান, সোহরাব মোড়ল, কার্ত্তিক কপাট, উত্তম হালদার, পিয়া আক্তরসহ কয়েকজন ভূক্তভোগী জানান, তালা উপজেলার ও পাইকগাছাসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদের শত শত মানুষের নদী পারাপার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হতে হয়। সাঁকোর খন্ড খন্ড চরাটগুলির কোনটাই এখন আর নিরাপদ নয়। বাঁধন না থাকায় তার উপর পা দিলেই রয়েছে গড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি। নেই ন্যুনতম কোন গার্ডার। এতে করে চলতি শীত মৌসুমে সন্ধ্যা নামতেই কুয়াশার প্রলোপ সাঁকোর পাটাতেনগুলিকে পিচ্ছিল করে দেয়। এমন অবস্থায় সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপারে কোন রকম অসাবধানতায় পা সরে মালামালসহ পড়তে হয়ে পানিতে। এত কোন রকম প্রাণ বেঁচে গেলেও শীতে ভেজা কাপড় ও সাথে থাকা মালামালসহ মূল্যবান জিনিষপত্র নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ভূক্তভোগিরা আরো জানান, ঘোষনগর খেয়াঘাট বরাবরই যাত্রী পারাপার অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয়। এনিয়ে ঘাঁট মালিক-যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। তবে টোল বেশি নিলেও সেখানে সেবার মান ক্রমশঃ তলাণিতে ঠকেছে। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়ে সাঁকাটি। এতে কিছুর পরও হুশ হচ্ছেনা সংশ্লিষ্টদের। তবে সাঁকো পারাপার জনভোগান্তিসহ নানা অনিয়মের খবর ঘাট এলাকায় গেলে সাক্ষাত পাওয়া যায়নি ঘাটের ইজারাদাসহ দায়িত্বশীল কাউকে।
এ ব্যাপারে জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, খেঁয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোটি চলাচলের একবার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘাটের ইজারাদারর এটি মেরামতের কথা থাকলেও তিনি সেটা করছেন না।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান বলেন, জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।