হাঁস মুরগী নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটের মামলায় সাজা প্রাপ্ত দুই আসামীকে কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশন শর্তসাপেক্ষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ আদেশ দেন সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম ইয়াছমিন নাহার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হাঁস মুরগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শুশিলগাতী গ্রামের আকবর আলী নিজের ভাইপো আব্দুল্লা হক এবং আকবরের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন আব্দুল্লাহ‘র স্ত্রী জাহানারাকে মারপিট করে। এঘটনায় জাহানারার বাবা শহরতলীর খড়িবিলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিম আবদুল্লাহ আসামী আকবরের ভাই এর ছেলে। আবার আসামী মনোয়ারা ভিকটিম আব্দুল্লাহ এর আপন খালা এবং চাচী। ভিকটিম আব্দুল্লাহ এর স্ত্রী জাহানারা এর সাথে আসামী মনোয়ারার হাঁস মুরগী নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে আকবর ভাইপোর মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারে। আর মনোয়ারা জাহানারাকে মারধোর করে। ২০১৬ সালের ২৭ জুন অভিযোগ গঠন করা হয়।
সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামী আকবরকে চার মাসের সশ্রম কারাদন্ড, আসামী মনোয়ারাকে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। আসামীদের কন্যা মুন্নিকে খালাস দেয়া হয়। তবে শাস্তি স্তাগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে উভয়কে এক বছরের জন্য প্রবেশন প্রদান করা হয়। শর্ত হলো আসামীরা ভিকটিম আবদুল্লাহ ও জাহানারাকে ৫ টি ফলজ গাছ প্রদান করবে। আবদুল্লাহ ও জাহানারা চিকিৎসা খরচ বাবদ নগদ দুই হাজার টাকা প্রদান করবে।
উক্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড মোঃ শামছুল বারী এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩)।
এবিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড মো: রফিকুল ইসলাম(৩) বলেন, বিজ্ঞ বিচারক পর্যালোচনা করছ যে রায় দিয়েছেন একটি সঠিক বিচার হয়েছে বলে মনে করেন।