
সুন্দরবনে জলদস্যুদের অপহরণের শিকার হওয়া আট জেলে মুক্তিপণ দিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ‘২৫) সকালে কদমতলা স্টেশনের আওতাধীন কঞ্চির খাল নামক স্থান থেকে জলদস্যুর তাদের একটি নৌকায় উঠিয়ে দেয়। পরবর্তী তারা নৌকা বেয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের পর জলদস্যুরা জন প্রতি ৩০ হাজার করে মুক্তিপণ দবি করে। পরে অনুনয় বিনয় করে ২৫ হাজার টাকা করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায়। টানা কয়েক দিনের আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার পর জেলেদের স্বজনরা নানা উপায়ে অর্থ যোগাড় করে তা জলদস্যুদের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে মঙ্গলবার ভোরে জেলেদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, আব্দুল আজিজ, আনারুল ইসলাম, নাজমুল হক, শামিম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন।
মুক্তিপণ দিয়ে জেলেরা ফিরে এলেও পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। স্থানীয় জেলে সংগঠন ও বাসিন্দারা দ্রুত জলদস্যু দমন এবং নিরাপদে মাছ ধরার দাবিতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে এবং বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্ট গার্ডের অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর মুক্তিপণের দাবিতে ডন বাহিনীর পরিচয়ে সুন্দরবনে থেকে ৮জন জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যুরা।