সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা শরীফের শ্রদ্ধেয় খাদেম, বিশিষ্ট সমাজসেবক, দানবীর, আধুনিক আহ্ছানিয়া মিশন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে বেশ কিছু দিন ধরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সেখানেই থাকা অবস্থায় ৭ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে সকলের মায়া ত্যাগ করে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তরুণ-কিশোর বয়স থেকেই তিনি হজরত শাহছুফী খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর খাদেম ছিলেন। আজীবন তিনি এই দায়িত্বে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।
হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর ইন্তেকালের পর থেকে আমৃত্যু তিনি দরবার শরীফের খাদেমের দায়িত্ব পালন করেন।
আলহাজ মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদ, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা ইউনিয়নের পাইকাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা ছিলেন ৫ ভাই ও ৫ বোন। তাঁর পিতার নাম মরহুম আলহাজ এজাহার হোসেন ও মাতার নাম মরহুমা জোহরাতুন্নেছা।
তিনি মানবসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার কারণে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি। শুভ্রবসন, মুক্তপদ, সদাহাস্যোজ্জ্বল, নির্লোভ, নিরহঙ্কার, নিরভিমান, সদালাপী, নিঃস্বার্থ সেবক, পরোপকারী, জনহিতৈষী, কল্যাণকামী এ মহামনীষী ছিলেন আলোকিত নলতা শরীফের অন্যতম রূপকার মহান ব্যক্তিত্ব। গুনী এই ব্যাক্তির মৃত্যুতে নলতা শরীফসহ দেশ-বিদেশে তাঁর হাজার হাজার ভক্ত, অনুরাগী ও গুণগ্রাহীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরহুম খাদেম সাহেবের প্রথম জানাজা’র নামাজ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশেষ ব্যবস্থায় কফিন সংরক্ষিত ছিল। নলতাসহ সর্বত্র প্রচার করা হয় বৃহস্পতিবারে তাঁর ২য় জানাজা নলতা শরীফের সামনে অনুষ্ঠিত হবে এবং পীর আম্মার মাজার সংলগ্নে দাফন সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে বুধবার ঘোষনা দেওয়া হয় যে, খাদেম সাহেবের নমুনা টেষ্টে করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এরপরেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সল্প সংখ্যক ব্যাক্তির অংশগ্রহনে অনেকটা চুপিসারে মহান ব্যাক্তিত্বের অধিকারী এই ব্যাক্তির দাফন সম্পন্ন করা হবে।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন মরহুমকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করুন। আমীন!