
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা না গেলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে।
দেশের মোট দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের ৩২ শতাংশই ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী। এদের মধ্যে রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। কিন্তু সড়কে প্রাণহানির কারণে আমরা সেই সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলছি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর '২৫) সকালে খুলনা সার্কিট হাউজে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ড প্রদত্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)'র চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের স্ত্রী সানজিদা ইয়াসমিন সেতু ও মোসা. আকলিমা এবং বাগেরহাটের রিক্তা পারভিন ও মনোয়ারা বেগমকে প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়।
আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কারণে ঘটে না। দুর্বল সড়কব্যবস্থা, অদক্ষ চালক, পথচারীর অসচেতনতা এবং আইন অমান্য—সব মিলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সড়কের মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। অতীতের মতো আমরা আবারও উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। যেমন-এই জাতি করেছে ’৫২, ’৭১ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে।
পেশাদার গাড়িচালকদের দক্ষতা বাড়াতে মাস্টার ট্রেইনার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অচিরেই সারা দেশের চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে দক্ষ চালক তৈরির কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হলে ৩০ দিনের মধ্যে বিআরটিএর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, এ বিষয়ে বিআরটিএ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ। সঞ্চালনা করেন বিআরটিএ খুলনার বিভাগীয় পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. জিয়াউর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ, খুলনা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) উসমান সরওয়ার আলম, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) লায়লাতুল মাওয়া, মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা মোটর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাবুল হোসেন, ইয়াসিন মোল্লা এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদ খান।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ফজলুল হক মনি বক্তব্য দেন।