
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় ৩৬ বছরের ভোগ দেখলেও সম্পত্তি গোপনে অন্যের নামে চেয়ার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর'২৫) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের মৃত প্রফুল্ল ঘোষের ছেলে মুকুন্দকুমার ঘোষ এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা মৌজার এস.এ খতিয়ান নং-১৫৮৭, দাগ নং-১২৭৪, জমির পরিমাণ ৪.২২ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় সরকার বিগত ১৯৮৭ সালে অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করেন। এরপর ১৯৮৮ থেকে ২০২৫ সাল এবং বাংলা ১৪৩১ সালের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ডিসিআর নিয়ে উক্ত জমি আমি ভোগ দখলে আছি। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৩৬ বছর যাবৎ ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় অজানা কারণে তালা ভূমি অফিস থেকে গোপনে ওই জমি অন্যদের নামে ডিসিআর দিয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় যথানিয়মে আমি ডিসিআর কাটার জন্য তালা ভূমি অফিসে যেয়ে জানতে পারলাম আমার ভোগ দখলীয় উক্ত সম্পত্তি গোপনে আরও প্রায় ২০দিন আগে অন্যদের নামে ডিসিআর দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর দপ্তরে আপীল করলে (যার নং-০৪/২৫)। তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখার সার্ভেয়ার মোঃ সাকিব আলম কাওসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু সার্ভেয়ার সরেজমিনে না যেয়ে গোপনে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাবে আমার বিরুদ্ধে একতরফা প্রতিবেদন দাখিল করেন। সার্ভেয়ারের গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আমার এতদিনের দখলীয় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
মুকুন্দ কুমার ঘোষ আরো বলেন, উক্ত জমিতে আমার পানের বরজ, পেয়ারা বাগান, কলা বাগান রয়েছে এবং একই সাথে ধান্য চাষ করেছি। এসব ফসল দেখাশুনা করার জন্য উক্ত জমিতে একটি টিনের ঘরও করা আছে। এমতাবস্থায় সার্ভেয়ার গোপন প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে এডিসি (রাজস্ব) বরাবর পুনঃতদন্তের আবেদন জানিয়ে দরখাস্ত করেছি। কিন্তু তিনি বিবেচনা না করে আদেশের দিন ধার্য করেন। যার কারণে আমার সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি মনে করছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার দীর্ঘ ৩৬ বছরের ডিসিআর কাটা জমি গোপনে ভূমি অফিস থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ডিসিআর প্রদান এবং আপীল তদন্তের সার্ভেয়ারেরও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কারণে আমাকে ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে যাতে তার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি পুন: ডিসিআর নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।