অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩ বছরের শিশু আইয়ানকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।
আইয়ান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের পিঞ্জুরী গ্রামের হাইয়ুল ও পাকিজা দম্পতির একমাত্র পুত্র সন্তান।
আত্মীয় পরিচয়ে বেড়াতে এসে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর '২৫) বেলা ১১ টার দিকে দোকান থেকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে আইয়ানকে অপহরণ করে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে আমিরুল হোসেন বাপ্পি নামের এক যুবক।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শিশু আইয়ানের মা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর শিশু আইয়ানকে উদ্ধারে রাতেই কোটালীপাড়া থানার এস আই সাদ্দাম হোসেন খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মাঠে নামে।
এসআই সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা ১২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর '২৫) দুপুর ২ টার দিকে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ধুপইল এলাকা থেকে অপহরণকারী আমিরুল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে শিশু আইয়ানকে উদ্ধার করি। অপহরণকারী আমিরুল ইসলাম ধুপইল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এদিকে শিশু আইয়ানকে উদ্ধারের খবরে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ভূয়সি প্রশংসায় ভাসছে। সকলেই অক্ষত অবস্থায় এবং কোন ধরনের ক্ষতি ছাড়াই আইয়ানকে উদ্ধার করায় কোটালীপাড়া থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। শিশু আইয়ানের মা পাকিজা বেগম বলেন, আমিরুল ইসলাম আমার স্বামীর খালাতো ভাইয়ের বন্ধু। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে ১ দিন থেকে চলে যায়।
গত মঙ্গলবার রাতে সে আবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে চিপস, চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে আইয়ানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বেল ১১ টার দিকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। টাকা দিলে ছেলেকে ফিরিয়ে দিবে বলে জানায় আমিরুল। থানা পুলিশকে জানাতে নিষেধ করে। পরে কোন কূলকিনারা না পেয়ে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করি।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান খন্দকার বলেন, অপহরনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিতে অভিযানে নামি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতেই ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে আজ শুক্রবার দুপরে নাটোরের লালপুর থেকে অপহৃত শিশু আইয়ানকে উদ্ধার ও আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।