পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ টানা ১০দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার (১৫ জুন ‘২৫) থেকে আবারো শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম। রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের এই বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। এর আগে গত ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত টানা ১০দিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সবধরনের আমাদানী-রপ্তানী বাণিজ্য বন্ধ ছিলো। তবে, এ সময় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আবু হাসান দেশ টাইমসকে জানান, ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনসহ সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়শনের কার্যকরী পরিষদের যৌথ মতামতের পর বিষয়টি নিয়ে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়শনের সাথে আলোচনা করে সর্ব সম্মতিক্রমে গত গত ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত টানা ১০দিন বন্দরের সকল ধরনের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি আরো দেশ টাইমসকে জানান, ঈদের ছুটি শেষে রবিবার সকাল থেকে আবারো উভয় দেশের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে।
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুফাল দুলাল মন্ডল দেশ টাইমসকে জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম টানা ১০ দিন বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এই সময় যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবু রাসেল আজাদ দেশ টাইমসকে জানান, টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে আবারো শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী বাণির্জিক কার্যক্রম।
তিনি আরো দেশ টাইমসকে জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ পণ্যবাহি ট্রাক বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেঁয়াজ, চাল, ফলমূল, কয়লা, মশলা ও নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই বন্দরটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভোমরা স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন সরকারের প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয় বলে এই কাষ্টমস কর্মকর্তা আরও জানান।