ঘুমন্ত শিশু সন্তানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামী আসমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (২৮ এপ্রিল ‘২৫) দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক নিকুঞ্জ রায় এর সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদনের শুনানী শেষে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক মেহেদী হাসানের এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
রিমাণ্ড মঞ্জুর হওয়া আসমা খাতুৃন (২৪) কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুল ইসলাসের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন আসমা খাতুনকে গত ২৪ এপ্রিল স্বামীর বাগি কুশোডাঙা গ্রাম থেকে বাপের বাড়ি বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের বাড়িতে আনা হয়। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে আসামকে যাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান ডাকতে যান তার মা আলেয়া খাতুন। এ সময় আসমা ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা দুই বছরের শিশু খাদিজাকে ধারালো বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা কুশোডাঙা গ্রামের কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে আসমার নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা (জিআর-৭৫/২৫) দায়ের করেন। পরদিন ২৬ এপ্রিল মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপ পরিদর্শক শাহাব নিকুঞ্জ রায় আসমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেন। সোমবার ওই রিমাণ্ড আবেদনের শুনানী হয়।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড, সিরাজুল ইসলাম রিমাণ্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক নিকুঞ্জ রায় বলেন, রিমাণ্ড শুনানীকালে আসামীপক্ষের কোন আইনজীবী ছিল না।
আগামিকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল ‘২৫) আসমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হবে।