বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে অভিযোজন এবং ঝুঁকি হ্রাসকরণের জন্য স্থিতিশীল অবকাঠামো (রিভার) প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জে ঠিকাদার ও মাঠ প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণে ৩ দিনব্যাপী (৮ -১০ এপ্রিল) প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ‘২৫) সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিজিল্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর এডাপটেশন এন্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন (রিভার) প্রজেক্ট- এর প্রকল্প পরিচালক অরুণ কুমার চৌধুরী। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিটিএল ড. এস এম পারভেজ মুহিত, উপজেলা প্রকৌশলীগণ, উপসহকারী প্রকৌশলীগণ এবং এলজিইডি গোপালগঞ্জের টেকনিক্যাল টিমের সদস্যগণ, কনসালটেন্ট বৃন্দ, ট্রেইনার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ সহ জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ এলজিইডি কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রকিবুল কবীর।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম সাহেব। পবিত্র গীতা পাঠ করেন আইআরআইডিপি-থ্রি প্রজেক্টের সহকারী প্রকৌশলী হীরেন চন্দ্র হাওলাদার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করলেন রিভার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অরুণ কুমার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এলজিইডি ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শরীফ উদ্দিন জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রজেক্টের আওতায় গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ৬৭টি ফ্লাড- শেল্টার নির্মিত হবে। ইতিমধ্যে জেলায় এ কাজ শুরু হয়েছে। তিনি এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শতভাগ দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানান। বক্তব্য শেষে পরে তিনি ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি গোপালগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক আমন্ত্রিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপদকালীন সময়ে দেশের জনগণকে নিরাপদে রাখতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় এবং এলজিইডি’র বাস্তবায়নে ফ্লাড- শেল্টার প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার/ প্রতিনিধিদের প্রতি কাজের গুণগত মান বজায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গণমাধ্যমকর্মী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রকল্প পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানানো হয় এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় নির্মিত এই ফ্লাড-শেল্টার হোমের সুবিধাগুলো ব্যাপক প্রচার- প্রচারণারমাধ্যমে সাধারণ জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।