সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙনস্থলে অস্থায়ী রিং বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যহত রয়েছে। শুক্রবার (০৪ এপ্রিল ‘২৫) সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে এই বাঁধ তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় বালি জিও টিউবে ভর্তি করে পানি বন্ধের কাজ চলছে। শনিবারের (০৫ এপ্রিল ‘২৫) মধ্যে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ হবে। আগামিকাল থেকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হবে। আগামি ২/৩ দিনের মধ্যে শেষ হবে প্রায় ৫০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ কাজ। তবে পানি বন্ধি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
নির্মাণ কাজে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা দেশ টাইমসকে জানান, আজকের মধ্যে পানি ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২/৩ দিনের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ শেষ করা যাবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ , সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন শুক্রবার দুপুরে দেশ টাইমসকে জানান, এই মুতুর্তে ভাঙনের পিছন দিক থেকে জিও টিউব দিয়ে বিকল্প বাঁধ তৈরি করে দিচ্ছি। আধা ঘণ্টার মধ্যে শেষ হবে। সামান্য কিছু কাজ কালকের মধ্যে শেষ করবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুজ্জামান দেশ টাইমসকে জানান, প্রথমে জিও টিউব দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হবে। পরে মাটির কাজ করা হবে। শেষে বাঁধের উপর মাটি দিয়ে টেকসই করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতরের দিন খোলপেটুয়া নদীর বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে বিছটসহ পার্শ্ববর্তী ৮টি গ্রামপ্লাবিত হয়। ভেসে যায় ৫ হাজার হেক্টর মৎস্য ঘের ও এক হাজার হেক্টর রোরো ধানের খেত। বর্তমানে এসব এলাকার ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গরু, ছাগল ও মাছ পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কোষ্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহষ্পতিবার আড়াই হাজার দুর্গত পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।