শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক যুগের বার্তার নির্বাহী সম্পাদক অসুস্থ: সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের আশু সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউটের স্কাউট’স ওন এবং ইফতার মাহফিল সাংবাদিকদের সম্মানে সাতক্ষীরায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল মুকসুদপুরে বিএনপি নেতা ইয়াছিন শেখের হ’ত্যাকা’রীদের ফাঁ’সির দাবিতে মানববন্ধন তালা আল ফারুক এতিমখানায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল দেবহাটার পারুলিয়া এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মাওলানা অলিউল ইসলাম যুগের বার্তার নির্বাহী সম্পাদক অসুস্থ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আশু সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা ডিবি গার্লস স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন সরফরাজ নেওয়াজ সাগর কালিগঞ্জে জামায়াতের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবীতে এলাকাবাসীর সাংবাদিক সম্মেলন

✍️গাজী জাহিদুর রহমান 📝নিজস্ব প্রতিবেদক✅
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ অববাহিকার পাখিমারা বিলে সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত জোয়ারাধার (টিআরএম) কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি ‘২৫) সকালে তালা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উক্ত সাংবাদিক সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বালিয়া এলাকার পাখিমারা বিল কমিটির সদস্য গোলদার আশরাফুল হক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৬ বছর যাবত তালা উপজেলার খেশরা, জালালপুর ও মাগুরা ইউনিয়নে অবস্থিত পাখিমারা বিলে সরকার কর্তৃক টিআরএম বা জোয়ারাধার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়। উক্ত বিলের আয়তন ১৫৬২ একর এবং প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বিলের উপর নির্ভরশীল। বিশাল কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে “কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প” নামে পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এর ফলে কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ১৫ লক্ষ অধিবাসী প্রত্যক্ষভাবে এবং প্রায় ৪০ লক্ষ অধিবাসী পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। এলাকার প্রধান উৎপাদন সেক্টর কৃষিক্ষেত্রেও ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, যোগাযোগ সহ এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রাণ ফিরে এসেছে। ২০১৫ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এলাকায় জলাবদ্ধতার প্রশমন ঘটেছে। এলাকার নদী সমূহ প্রাণ ফিরে পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলা, ভূমি গঠণ, পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় টিআরএম কর্মসূচী অনন্য অবদান রেখেছে। কিন্তু পাখিমারা বিল অধিবাসীদের ভোগান্তি ও অবর্ননীয় দুঃখ কষ্টের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল টিআরএম চলাকালীন সময় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। বিলে ৬ বছর টিআরএম কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলেও ক্ষতিপূরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ বছর। প্রকল্পে অনুমোদিত ক্ষতিপূরণের হার প্রতি বছর একর প্রতি ৪২,৬৯৬ টাকা। এই হিসাবে ৬ বছরে পাওনা টাকার পরিমাণ ৪০ কোটি ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯১২ টাকা, কিন্তু জনগণ পেয়েছে ১০ কোটি ১২ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৬৪ টাকা, সরকারের কাছে বকেয়া পাওনা ২৯ কোটি ৮৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৪৮ টাকা। প্রকল্পের আওতায় অধিকৃত বিলের চারিপাশে ২০১১-১২ অর্থবছরে কাজ শুরু করে ২০১৩-১৪ সালে ১২.৮৭ কি.মি. পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়। সে কারণে পেরিফেরিয়াল বাঁধের জমির মালিকদের ১০ বছরের ক্ষতিপূরণ পাওনা হলেও তাদেরকে মাত্র ২ বছরের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। বেসিনের মধ্যে অনেক জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় তারা ক্ষতিপূরণ পায়নি। তাছাড়া সংযোগ খাল খননের জন্য ১০.২৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এই জমির মালিকরা কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি, ৩৫টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হলেও তাদের পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের কপোতাক্ষ অববাহিকার অধিকাংশ এলাকা দীর্ঘদিন যাবত জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত ছিল। পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়িত হওয়ায় এসব এলাকার জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্ত আমাদের ভোগান্তি সীমাহীন। টিআরএম চলাকালীন সময়ে আমরা কোন ফসল উৎপাদন করতে পারিনি, পেরিফেরিয়াল বাঁধ ভেঙ্গে গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জীবন ধারণের প্রয়োজনে আমাদের অধিকাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে, অনেক পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। তাই অতিদ্রুত বাস্তবায়িত টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:১০ অপরাহ্ণ
  • ১৬:২৭ অপরাহ্ণ
  • ১৮:১৩ অপরাহ্ণ
  • ১৯:২৬ অপরাহ্ণ
  • ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!