রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাতক্ষীরা সদরের বালিথায় বি”ষপ্র”য়োগে অ”চেতন করে ঘরে ঢুকে কাগজপত্র, টাকা-গ”হনা চু”রির অ”ভিযোগ “অনলাইন কম্পিউটার” এর নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন ১৯ নভেম্বর তালার পাটকেলঘাটায় ইমাম–মুয়াজ্জিন–উলামা সমাবেশ তালায় হাব’র ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত তালায় দরিদ্র নারীদের মাঝে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ সাতক্ষীরা সদরের ১৪টি ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ধানের শীষ প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রউফের একাট্টা  সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপি নেতা ডা. শহিদুল আলমের দলীয় মনোনয়নের দা”বিতে বি”ক্ষোভ ও সমা”বেশ সাতক্ষীরার- ৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত  সাতক্ষীরা-২ আসনে দলীয় মনোনয়নের দাবিতে বিএনপি নেতা তাসকিন আহমেদ চিশতি সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ  কালিগঞ্জের জামেয়া তা’লীমুল কোরআন মাদ্রাসায় বার্ষিক মাহফিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত

হৃদয় বিদারক! ঝড়ে গেলো দুটি তরতাজা প্রাণ 

✍️গাজী জাহিদুর রহমান 📝নিজস্ব প্রতিবেদক✅
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

টানা ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ‘২৫) জীবন প্রদীপ নিভে গেল পপুলার মেডিকেল কলেজর ১২তম ব্যাচের ছাত্রী প্রতিভা সরকার মিতুর। এর দশ দিন আগে একই দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় তার হবু স্বামী ইর্ন্টাানী চিকিৎসক ডাঃ অর্ঘ্য অমৃত মন্ডলের। উক্ত ঘটনায় তালা উপজেলা জুড়ে বইছে শোকের মাতম।

তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার বাংলাদেশ মেইলকে জানান, তালা অফিসের অফিস সহকারী দেবকী রায় ও সিএসএস এর ডুমুরিয়া উপজেলার ম্যানেজার বিপ্রজিত সরকারের একমাত্র সন্তান প্রতিভা সরকার মিতু। গত ৩০ জানুয়ারি’২৫ তার বাগদত্তা সাতক্ষীরা শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা ডাঃ অর্ঘ্য অমৃত মন্ডলের সাথে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় আসার পথে গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ডাঃ অমৃত মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় মিতুকে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিতু পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আর ডাঃ অর্ঘ্য একই প্রতিষ্ঠানের ইর্ন্টাানী চিকিৎসক।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হবার কথা ছিলো। ঢাকায় বাসাভাড়া, কেনাকাটা, কার্ড ছাপানো, রেষ্ট হাউজ বুকিং দেয়া, বিয়ের ভেন্যু, খাবার দাবারের এডভান্সদেয়াসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু ডাঃ অর্ঘ্যর জ্যাঠামশাই (বাবার বড় ভাই) মারা যাওয়ার বিয়ে পিছিয়ে যায়। জ্যাঠার অন্তেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যোগদান এবং বিয়ের তারিখ ঠিক করার জন্য তারা আসছিলো। আসার পথেই তারা সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হয়। এদিকে দশ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার না ফেরার দেশে চলে যায় প্রতিভা সরকার মিতু। তাদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে দুই পরিবারের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।

মিতুর প্রতিবেশি আনিসুর রহমান জানান, মিতু লেখাপড়ার ফাঁকে টিউশনি করে মা ও বাবাকে কিছুটা চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করে। মিতু অতি নমনীয় ভদ্র মেয়ে, সে বড় হয়েছে বুঝতে শিখেছে। বাবা মায়ের স্বপ্ন মেয়েটাকে এবার বিয়ে দিতে হবে, হয়তো তার মা বা বাবা মিতুর কাছে তার পছন্দের কোন পাত্র আছে কি না জানতে চেয়েছিল। মিতু তার পছন্দের পাত্রের কথা বলেছিল তার পরিবারে। একই মেডিকেলে পড়ুয়া কোন এক সুদর্শন যুবক মিতুর পছন্দ তারা একে অপরকে ভালোবাসে। মিতুর মতের বিপরীতে যাইনি তার পরিবার, উভয় পরিবারের মতামতে তাদের বিয়ের দিন পাকা হয়। মিতুর বিয়ের দাওয়াতের সোনালী কর্ডটি এখনো টেবিলের উপর। বিগত মাসের কোন এক শুক্রবার তাদের বিয়ের ডেট ছিলো কিন্তু মিতুর হবু বরের কাকা ঠিক ঐ বিয়ের আগের দিন মারা যাওয়ায় বিয়ের ডেট পিছিয়ে যায়।

গত ৩০জানুয়ারি ঐ মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে বাসার উদ্দেশ্য বাইকে চড়ে বের হয়েছিল মিতু ও তার হবু বর। সৃষ্টির রহস্য বুঝা কঠিন, ঘাতক ট্রাকের সঙ্গে দূর্ঘটনায় ঐ স্পটে মারা যায় মিতুর হবু বর আর মিতু মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং ডাঃ তাকে আই সি ইউ তে ভর্তি করে। মাত্র ১০ দিনের মাতায় মিতুও বিদায় জানিয়েছে পৃথিবীর মায়া। তাদের মৃত্যুতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!