
হামলা মামলার সাক্ষীর স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা করায় আসামীরা বাদি ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যা চাঁদাবাজি ও মারপিটের মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর '২৪) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পলগাদা গ্রামের ডালিম সরদারের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম আমলী-৭ নং আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক তনিমা মণ্ডল আগামি ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাতক্ষীরার পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশান এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পলগাদা গ্রামের আবুল খায়ের জানান, পলগাদা এলাকার ঘুরনচণ্ডি খাল ও দাড়ার খালের নেটপাটা অপসারনে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানের আগে খালে নেটপাটা দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরদিন সকালে ঘেরের বাসা থেকে ফেরার সময় তার ভাই হারুন অর রশিদকে একই গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম সরদার ও তার ভাই ডালিম সরদারের নেতৃত্বে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর আদালতে শফিকুলসহ তার তিন ছেলের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে হারুন অর রশিদ। আদালতের নির্দেশে দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক তাজুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে শফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হারুনকে ও সাক্ষী না দেওয়ার জন্য নূরজাহানের স্বামী আবুল খায়েরকে হুমকিব ধামকি দিয়ে আসছিলো। মামলা তুলতে ও সাক্ষী না দেওয়ার জন্য অপারগতা প্রকাশ করায় ২৫ ডিসেম্বর বুধবার শফিকুল ইসলাম, তার ভাই সেলিম, ডালিম, শফিকুলের ছেলে আবু বক্কর, ওসমান, মোহাম্মদ আলী ও একই গ্রামের ওসমানসহ কয়েকজন সশস্ত্র অবস্থায় তার বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। লুটপাটে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী নূরজাহানের বাম পা কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় নূরজাহান বাদি হয়ে শফিকুল ও ডালিমসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৬ ডিসেম্বর'২৪ থানায় মামলা (থানা মামলা নং-৮) দায়ের করেন।
আবুল খায়ের অভিযোগ করে বলেন, ভাই হারুনের ও স্ত্রী নূরজাহানের দায়েরকৃত মামলায় কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় আসামীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে নূরজাহানের মামলার আসামী ডালিম সরদারের স্ত্রী মুর্শিদা খাতুনকে দিয়ে তাকে, তার স্ত্রী নূরজাহান (মামলার বাদি), হারুনের দায়েরকৃত মামলার বাদি হারুণ ও দুটি মামলার সাক্ষী হারুণ শেখ, বজলু শেখ, ফজলু শেখ, বেল্লাল হোসেনসহ আটজনকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় (সিআর-৩২৯/২৪) তাদের বিরুদ্ধে ২৪ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি ও ২৫ ডিসেম্বর বাড়িতে যেয়ে মুর্শিদা খাতুন, মুর্শিদার দেবরের স্ত্রী জাহানারা ও শ্বাশুড়ি রাবেয়াকে মারপিট, টাকা ও সোনার গহনা লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে।